Home » সিরাজগঞ্জে অবৈধ কোচিং বাণিজ্য বন্ধে জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত এখনো আলোর মুখ দেখেনি!

সিরাজগঞ্জে অবৈধ কোচিং বাণিজ্য বন্ধে জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত এখনো আলোর মুখ দেখেনি!

0 মন্তব্য গুলি 42 জন দেখেছে 2 মিনিট পড়েছেন

সিরাজগঞ্জে অবৈধ  কোচিং বাণিজ্য বন্ধে জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত ৫০ দিনেও আলোর মুখ দেখেনি বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে  অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ, জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে প্রধান উপদেষ্টা কাছে অভিযোগের হুশিয়ারী দিচ্ছেএখন  ভুক্তভোগীরা।

সংশ্লিষ্ট  সূত্রে জানা যায়  নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে এবং জেলা প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে নাকের ডগায় ভোর থেকে রাত অব্দি সিরাজগঞ্জ শহর সহ জেলার প্রতিটি উপজেলা শহর এমনকি গ্রাম পর্যায়ে ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে উঠেছে প্রাইভেট ও কোচিং সেন্টার। এসব প্রাইভেট ও কোচিং সেন্টার গুলো অবৈধভাবে পরিচালনা করছেন স্কুলের শিক্ষকরা। শিক্ষকরা তার নিজ স্কুলের ছাত্র ছাত্রীদের প্রাইভেট পড়াতে পারবেন না এমন নিষেধ থাকলেও অসাধূ শিক্ষকরা নিজ স্কুলের ছাত্র ছাত্রীদেরই প্রাইভেট ও কোচিং করাচ্ছেন। অসাধু শিক্ষকদের মধ্যে সিরাজগঞ্জ সরকারি বিএল উচ্চ বিদ্যালয় ও সালেহা ইসহাক বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নাম প্রথম সারিতে রয়েছে। শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে ক্লাসে ঠিকমত ক্লাস না করে তাদেরকে প্রাইভেটে বাধ্য করানো হয়ে থাকে। শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট না পড়লে পরীক্ষায় নম্বর কম দেয়া এমনকি শিক্ষকদের কাছে প্রাইভেট পড়া ছাত্র ছাত্রীদের প্রশ্নপত্র সরবরাহেরও অভিযোগ রয়েছে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে। বিনিময়ে বেতন হিসেবে মাসিক মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। নিজ বাড়িতে অথবা ভাড়া ঘরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে গাদাগাদি করে তারা এসব প্রাইভেট ও কোচিং সেন্টার পরিচালনা করছেন। অসাধু এসব শিক্ষকদের ফাঁদে পড়ে আর্থিক ভাবে স্বচ্ছল পারিবার তাদের ছেলে মেয়েদের প্রাইভেট বা কোচিং করে প্রতিযোগী করে গড়ে তুলতে পারলেও অস্বচ্ছল পরিবারের ছেলে মেয়েরা পিছিয়ে পড়ছে। শিক্ষকদের বিরুদ্ধে এসব নানা অনিয়ম দূর্নীতি ও প্রতরণা থেকে রক্ষা পেতে অভিভাবকরা জেলা প্রশাসক বরাবর একাধিকবার অভিযোগও দিয়েছেন। কিন্তু অভিযোগের কোন প্রতিকার পানননি অভিভাবকরা। ফলে অবিভাবকরা ফুসে উঠতে থাকে। বিষয়টি আচ করতে পেরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) রোজিনা আকতারের সভাপতিত্বে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোচিং বাণিজ্য বন্ধ সংক্রান্ত জেলা মনিটরিং কমিটির এক জরুরী সভা গত ৬ আগষ্ট ২০২৫ তারিখে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জেলা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা শিক্ষা অফিসার, বিএল ও সালেহা ইসহাক স্কুলের প্রধান শিক্ষক সহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় অবৈধ প্রাইভেট ও কোচিং সেন্টার বন্ধ ও জড়িত শিক্ষকতের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা সহ ৯টি সিদ্ধান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। কিন্তু সিদ্ধান্তের ৫০ দিন অতিবাহিত হলেও সিদ্ধান্ত গুলো বাস্তবায়নে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় অভিভাবকদের মধ্যে আবারও ক্ষোভের জন্ম নিচ্ছে। এবার তারা জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে প্রধান উপদেষ্টা ও শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিবেন বলেও হুশিয়ারী দিয়েছেন।
সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে গড়িমসির কেন? জানতে মুঠোফোনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোচিং বাণিজ্য বন্ধ সংক্রান্ত জেলা মনিটরিং কমিটির সভাপতি রোজিনা আকতারের কাছে জানতে চাইলে প্রতিবেদককে কোন সদুত্তোর না দিতে পারলেও তিনি আশাবাদি হয়ে জানান,খুব শীঘ্রই গণমাধ্যম ভাইদের নিয়ে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে কাজ শুরু করা হবে। চলবে-০২

এই সম্পর্কিত আরো পোস্ট দেখতে পারেন

কমেন্ট লিখুন