বিশেষ প্রতিনিধি:
সপ্তাহে ছয়দিন ঢাকা-কমলাপুর রেলওয়ে ষ্টেশন থেকে খুলনাগামী “চিত্রা এক্সপ্রেস” ট্রেন এর টিকিট বিক্রি, গাড়ীর মধ্যে টিকিট চেকিং, যাত্রীদের সাথে দূর্ব্যবহার এর নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার। গত এক সপ্তাহ আগে রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের জি,এম (মহাব্যবস্থাপক) জনাব ফরিদ আহমেদের সাথে মোবাইল ফোনে দীর্ঘ সময় কথা বলার পর, তিনি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলেও অদ্যাবধি “চিত্রা এক্সপ্রেস”ট্রেন এর যাত্রী সেবার কোন উন্নতি লক্ষ্য করা যায়নি।
প্রকাশ থাকে যে, “চিত্রা এক্সপ্রেস” ট্রেন এর অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা ও টিকিট বুকিং থেকে শুরু করে টিকিট চেকার এমনকি এ্যাটেনডেন্ট পর্যন্ত যে, সীমাহীন দূর্নীতি হয়ে আসছে, সে বিষয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক, প্রধান বানিজ্যিক কর্মকর্তা, পশ্চিমাঞ্চলের প্রধান বানিজ্যিক কর্মকর্তা, রেলওয়ে পাকশী ডিভিশনের বানিজ্যিক কর্মকর্তা (ডি,সি,ও পাকশী) সহ উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের বরাবরে অফিসিয়াল ই-মেইলে “তৃণমূলের সংবাদ ডটকম” এর পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হলেও অদ্যাবধি কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি বলে, এ প্রতিনিধিকে অভিযোগ করেছেন অন্তত ৪৫ জন যাত্রী।
গত জুলাই-আগষ্ট আন্দোলনের সময়, যমুনা সেতুর পশ্চিম পাড়ে কড্ডার মোড়ে অবস্থিত রেল ষ্টেশনটি বিক্ষুব্ধ জনতার আক্রোশে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হলেও সেই ষ্টেশনটি অদ্যাবধি সংস্কার বা মেরামতের কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় নাই। এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সিরাজগঞ্জ শহর, কড্ডার মোড়, কামারখন্দ, বেলকুচি, এনায়েতপুর এলাকা থেকে নিত্য নৈমিত্তিক ট্রেনে যাতায়াতকারী হয়রানী হওয়া যাত্রী সাধারণ। অথচ অনতি দূরে মাত্র ৬ কিলোমিটার পূর্বে যমুনা নদীর তীঁরে যমুনা সেতু পশ্চিম নামে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের ভুল পরিকল্পনায় স্থাপন করা হয়েছে একটি রাজকীয় রেল ষ্টেশন যেখানে কোন যাত্রী উঠা নামার বা টিকিট বিক্রির ব্যবস্থাও নাই সম্ভাবনাও নাই। এটি সরকারি অর্থের অপচয় ও বিদায়ী ফ্যাসিস্ট সরকারের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা ব্যক্তি ও কর্তৃপক্ষের অর্থ আত্মসাতের একটি কুটকৌশল বলে মনে করছে সিরাজগঞ্জের সচেতন জনসাধারণ।
রহস্যজনক হলেও সত্য যে, চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেন ঢাকা থেকে খুলনা যাওয়ার পথে যাত্রীদের টিকিট চেক করা হয় টাঙ্গাইল রেল ষ্টেশন ছাড়ার পর যমুনা সেতু পূর্ব ষ্টেশন পাওয়ার আগ মুহুর্তে।
।। চলবে।।