তৃণমূলের সংবাদ ডেস্ক
দেশের প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তা বিধান করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। শারদীয় দুর্গাপূজা ও বিজয়া দশমী উপলক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেছেন, “তাদের সুখ, শান্তি ও কল্যাণ কামনা করি।”
বুধবার (১ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, আবহমানকাল ধরে দেশের বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষ উৎসাহ উদ্দীপনার সঙ্গে ধর্ম পালন করে আসছে। এটি বাংলাদেশের ঐতিহ্যগত ধর্মীয় সামাজিক মূল্যবোধ ও সংস্কৃতির সৌন্দর্য। শরতের কাশফুল ও শীতের আভাস এই উৎসবের আগমনী বার্তা দেয়। আর উৎসব হলো অন্ধকার থেকে আলোকের উদ্ভাসন।
তারেক রহমান বলেন, “হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি আমার আহ্বান— আপনারা উৎসাহ উদ্দীপনা সহকারে নিশ্চিন্তে নিরাপদে উৎসব উদযাপন করুন। সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে দিন। আমি এবং আমার দল বিএনপি বিশ্বাস করি— ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার; ধর্ম যার যার, নিরাপত্তা পাবার অধিকার সবার।”
তিনি আরও বলেন, “একজন বাংলাদেশি হিসেবে আমি মনে করি, উৎসবের ভেতর দিয়েই ফুটে ওঠে আমাদের বিভিন্ন ধর্ম-গোত্র-সম্প্রদায়ের পারস্পরিক বন্ধুত্ব, সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্ব। আমাদের রাষ্ট্র এবং সংবিধান দল-মত-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে প্রতিটি মানুষের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিয়েছে। সুতরাং দেশের প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তা বিধান করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব।”
বিএনপি নেতা বলেন, “পবিত্র হাদিসেও নির্দেশনা রয়েছে— যে ব্যক্তি রাষ্ট্রের নিরাপত্তাপ্রাপ্ত অমুসলিমকে নির্যাতন করে বা তাদের অধিকার খর্ব করে, তার বিরুদ্ধে কেয়ামতের দিন রাসুল (সা.) লড়বেন।”
তিনি আরও বলেন, “ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে নাগরিকের নিরাপত্তা ও সম্মান রক্ষা নৈতিক দায়িত্ব। যারা উৎপীড়ন ও প্রতিহিংসার মাধ্যমে সমাজকে ধ্বংস করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করা ন্যায়সঙ্গত।”
শারদীয় উৎসবকে ঘিরে তিনি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “কেউ যেন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে বা নিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে না পারে— সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।”