তৃণমূলের সংবাদ ডেস্ক :
বরগুনার তালতলীতে তিন বছর বয়সি শিশুকে নদীতে ফেলে দিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে মা মারজিয়া আক্তারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মারজিয়া ও তার পরকীয়া প্রেমিকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার অঙ্কুজানপাড়া এলাকায় মানববন্ধন করেন শত শত নারী-পুরুষ ও নিহত শিশুর পরিবার।
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, শিশু শাহাদাতের মা মারজিয়া আক্তার তার প্রেমিকের পরামর্শে বাড়ির পাশের পায়রা নদীতে শিশুটিকে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যান। তারা দ্রুত তদন্তপূর্বক দোষীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানান।
শিশুটির বাবা শাহিন বলেন, “আমি একটি জেলে নৌকায় কাজ করি। মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে বাড়ি ফিরে দেখি ঘরে তালা, স্ত্রী-সন্তান কেউ নেই। খোঁজাখুঁজি করেও পাইনি। পরে জানতে পারি মারজিয়া আমতলীতে গিয়ে আমাকে তালাক দেওয়ার চেষ্টা করছে। কিছুক্ষণ পর খবর পাই, পায়রা নদীতে আমার ছেলের লাশ ভেসে উঠেছে। কিন্তু স্ত্রী প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়েছে।”
শাহিন অভিযোগ করেন, থানায় গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি, বরং নৌ পুলিশের কাছে পাঠিয়েছে। নৌ পুলিশের কাছে গেলে তারা আবার থানার কাছে যেতে বলেন।
এ বিষয়ে তালতলী থানার ওসি মো. শাহজালাল জানান, “নদীতে কোনো লাশ পাওয়া গেলে সেটি নিয়ে কাজ করে নৌ পুলিশ। এ ঘটনায় নৌ পুলিশ বাদী হয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
তিনি আরও বলেন, “অভিযুক্ত মারজিয়ার পরিবার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছে। পুলিশ বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। মারজিয়াকে উদ্ধার করা গেলে পুরো ঘটনা পরিষ্কার হবে।”
