নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় এক যুবককে মারধর ও চাঁদাবাজির অভিযোগে তিন পুলিশ সদস্য ও এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। ভুক্তভোগী মো. জাহিদুল ইসলাম গতকাল বৃহস্পতিবার সিরাজগঞ্জ আমলি আদালতে এ মামলা দায়ের করেন।
আসামিরা হলেন- উপজেলার বালসাবাড়ী গ্রামের দেলোয়ার হোসেন দুলালের ছেলে মো. রুবেল হোসেন, উল্লাপাড়া মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আব্দুল হালিম, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. আব্দুস সাত্তার এবং কনস্টেবল মো. মেজবাহ আলী। জাহিদুল উপজেলার সলপ ইউনিয়নের কানসোনা গ্রামের হাচেন আলীর ছেলে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, রুবেলের সঙ্গে জাহিদের ফেসবুকে পরিচয় হয়। দীর্ঘদিন তাদের বন্ধুত্ব চলে। ৯ আগস্ট রাতে রুবেল একটি মোটরসাইকেল নিয়ে এসে জাহিদুলের বাড়ির সামনে রেখে ফোন দেন। রুবেলের সঙ্গে জাহিদুলের পাশের কৃষ্ণগঞ্জ বাজারে যাওয়ার কথা ছিলো। জাহিদুল বাড়ি থেকে বের হতে দেরি হলে রুবেল তার গাড়ি রেখে ধূমপানের জন্য সমানের দিকে এগিয়ে যান। ৪/৫ মিনিট পর ফিরে এসে দেখেন, তার মোটরসাইকেলটি সেখানে নেই। এ সময় রুবেল তার মোটরসাইকেলটি জাহিদুল ও তার লোকজন সরিয়েছে বলে অভিযোগ করেন। জাহিদুল এই অভিযোগ অস্বীকার করলে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরদিন রুবেল উল্লাপাড়া থানায় এ ব্যাপারে একটা অভিযোগ দেন।
১০ আগস্ট রাতে রুবেল তিন পুলিশ সদস্যকে নিয়ে জাহিদুলের বাড়িতে এসে তার মোটরসাইকেল দাবি করেন এবং সেই সঙ্গে এক লাখ ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। এ সময় জিজ্ঞাসাবাদের নামে পুলিশ সদস্যরা জাহিদুলকে মারধর করেন। এ ঘটনায় জাহিদুল মামলা করেন।
মামলার প্রধান আসামি রুবেল হোসেন জানান, জাহিদুল তার বন্ধু হওয়া সত্ত্বেও কৌশলে তার মোটরসাইকেলটি চুরি করেছে। এ ঘটনাকে আড়াল করতে জাহিদুল আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন। তিনি বা পুলিশ সদস্যরা কেউই তার কাছে চাঁদা চাননি। জাহিদুল মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদেরকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।
এ ব্যাপার ওই মামলার অপর আসামি উল্লাপাড়া মডেল থানার এসআই আব্দুল হালিম বলেন, রুবেলের হারানোর মোটরসাইকেলটি উদ্ধারের জন্য অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাতে জাহিদুলের বাড়িতে তারা যান এবং তাকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জাহিদুল তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা সাজিয়ে বাঁচার চেষ্টা করছেন।