Home » ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসকের অনুপস্থিতে: দুর্ভোগে জনগণ।

ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসকের অনুপস্থিতে: দুর্ভোগে জনগণ।

0 মন্তব্য গুলি 3 জন দেখেছে 2 মিনিট পড়েছেন

নিজস্ব সংবাদদাতা:

সদর উপজেলার বাগবাটি ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক দীর্ঘদিন অনুপস্থিত থাকায় জনজীবনে ভোগান্তি নেমে এসেছে।  জানা যায়, আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর কোনো খোঁজ-খবর নেই বাগবাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের। তিনি কোথায় আছেন, সঠিক ঠিকানাও কেউ জানে না। এমতাবস্থায় বিভিন্ন মামলা থাকায় তিনি কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। ফলে ইউনিয়নবাসী সকল ধরণের নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিলো।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানা যায়, সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর এর পরিবর্তে দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসক হন উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোঃ সোহেল রানা। তবে তিনি বেশ কয়েকদিন ধরে অনুপস্থিত রয়েছেন।

সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে স্থানীয় সূত্র ও সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, জন্মনিবন্ধন, ওয়ারিশান সনদসহ নানা জরুরি কাজে মানুষ ইউনিয়ন পরিষদে আসছেন। কিন্তু প্রশাসককে না পেয়ে অনেকেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে খালি হাতে ফিরে যাচ্ছেন।

banner

ইউনিয়নের হাসনা গ্রামের রবিউল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি জানান, ওয়ারিশান সনদের জন্য ১৫ দিন ধরে তার ভাই এসে ঘুরে যাচ্ছেন কিন্তু প্রশাসককে পাচ্ছিনা। ফলে সনদ সংগ্রহ করতে পারছি না। পরে সচিব সাহেবের নিকট জমা দিয়ে আসলাম। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমরা দূর থেকে আসি, কিন্তু ঘুরে ঘুরে যেতে হয়। আমাদের দাবি যদি প্রশাসক অনুপস্থিত থাকেন তবে অন্য কাউকে দায়িত্ব দিয়ে আমাদের জনসাধারণকে সেবা প্রদান করা হোক।

পিপুলবাড়ীয় গ্রামের শিক্ষার্থী নাহিদ রানা বলেন, গত কয়েকদিন ধরে নাগরিকত্ব সনদপত্রের জন্য ইউনিয়ন পরিষদে এসে ঘুড়ে ঘুড়ে যাচ্ছি, কিন্তু একদিনও প্রশাসক সোহেল রানার দেখা পাচ্ছিনা। এটা আমার জরুরী দরকার।

ইচ্ছামতি গ্রামের শাহিদা খাতুন বলেন, আমার ভোটার আইডির সদস্যা কারণে ১০দিনে ধরে ইউনিয়ন পরিষদে এসে ঘুড়ে যাচ্ছি, কিন্তু কাউকে পায়নি। আজ সচিবকে পেয়েছি। তার নিকট কাগজপত্র জমা দিয়েছি। তিনি উপজেলা গিয়ে প্রশাসকের নিকট থেকে স্বাক্ষর নিয়ে আসবে। আমাকে আগামীকাল আসতে বলেছে।

বাগবাটি ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মোঃ মাসুদ রানা বলেন, যখন জরুরী কাজ বেশি হয় তখন প্রশাসক সাবেক ইউনিয়ন পরিষদে আসেন। আর বেশি জরুরী কাজ হলে আমি কাগজপত্র নিয়ে উপজেলায় গিয়ে স্বাক্ষর করে নিয়ে আসি।

বাগবাটি ইউনিয়ন পরিষদের নাম প্রকাশে অইচ্ছুক ইউপ সদস্য জানান, প্রশাসক সোহেল রানা কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার হিসেবে দায়িত্ব থাকায় নিয়মিত ইউনিয়ন পরিষদে আসে না। এছাড়া তিনি ৩টি হাই স্কুলের সভাপতি হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন। সেই কারণে তিনি এক মাসে মধ্যে ১/২ দিন ইউনিয়ন পরিষদে আসেন। কোন কোন মাসে আসেনই না। এই জন্য আমাদের ইউনিয়ন পরিষদের সেবার মান খারাপ হয়ে পড়েছে। সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। তিনি আরো বলেন, বেশি জরুরী হলে সচিব সাহেব কাগজগুলো তার নিকট নিয়ে স্বাক্ষর নিয়ে আসেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোঃ সোহেল রানা বলেন, আমি সপ্তাহের ১ দিন বাগবাটি ইউনিয়ন পরিষদে যায়। এছাড়াও প্রত্যকে দিন বিকালে সচিব ও গ্রাম পুলিশ সদর উপজেলায় এসে কাগজগুলো স্বাক্ষর করে নিয়ে যায়। এখানে ভোগান্তির কিছুই নেই। আমার উপর যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, সেগুলো কাজ করতে হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনোয়ার হোসেন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।

এই সম্পর্কিত আরো পোস্ট দেখতে পারেন

কমেন্ট লিখুন