Home » খাগড়াছড়ি সহিংসতায় ভারতের ‘ইন্ধন’ অভিযোগ কড়া প্রত্যাখ্যান দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

খাগড়াছড়ি সহিংসতায় ভারতের ‘ইন্ধন’ অভিযোগ কড়া প্রত্যাখ্যান দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

0 মন্তব্য গুলি 2 জন দেখেছে 1 মিনিট পড়েছেন

তৃণমূলের সংবাদ ডেস্ক:
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে অক্ষম এবং নিয়মিতভাবে অন্যের ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা তাদের অভ্যাস। তাদের জন্য ভালো হবে, যদি তারা আত্মানুসন্ধান করে এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর স্থানীয় উগ্রবাদীদের সহিংসতা, অগ্নিসংযোগ ও ভূমি দখলের কর্মকাণ্ডের পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করে।

এ কথাগুলো সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।

সাম্প্রতিক খাগড়াছড়িতে সহিংসতার ঘটনায় ‘ভারতের ইন্ধন’ থাকার যে কথা বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছেন, সেটিকে কড়া ‘মিথ্যা ও ভিত্তিহীন’ দাবি করেছেন জয়সওয়াল। তিনি বলেন, এ অভিযোগ সুস্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করছি।

banner

গত ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলায় মারমা জাতিগোষ্ঠীর এক কিশোরীকে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনার পর বিক্ষোভ ও উত্তেজনা চলছিল পার্বত্য জেলায়। পরদিন ২৪ সেপ্টেম্বর পুলিশ শয়ন শীল নামের ১৯ বছর বয়সি এক তরুণকে গ্রেফতার করে।

২৭ সেপ্টেম্বর ভোরে ‘জুম্ম-ছাত্র জনতা’ ব্যানারে অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়, যা চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি, খাগড়াছড়ি-রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি-সাজেক সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে। গুইমারায় ১৪৪ ধারা ভেঙে সহিংসতায় অন্তত তিনজন নিহত হন।

এরপর মারমা কিশোরীর স্বাস্থ্য পরীক্ষায় ‘ধর্ষণের কোনো আলামত পাননি’ বলে জানানো হয়।

এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ২৯ সেপ্টেম্বর ঢাকায় সাংবাদিকদের প্রশ্নে খাগড়াছড়িতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার পেছনে ‘ভারতের ইন্ধন’ থাকার অভিযোগ করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

রিপোর্টে তিনি বলেন, “বর্তমানে সনাতন ধর্মালম্বীদের একটি বড় উৎসব চলছে। এই উৎসবকে শান্তিপূর্ণ করার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। তবে একটি মহল এই চেষ্টা করছে যাতে উৎসব উদ্দীপনা ও আনন্দমুখরভাবে না হয়।”

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পার্বত্য এলাকার উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসন এবং স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে কাজ করছেন।

এই সম্পর্কিত আরো পোস্ট দেখতে পারেন

কমেন্ট লিখুন