তৃণমূলের সংবাদ ডেস্ক
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে অক্ষম এবং নিয়মিতভাবে অন্যের ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা তাদের অভ্যাস। তিনি জানান, তাদের জন্য ভালো হবে যদি তারা আত্মসমালোচনা করে এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর স্থানীয় উগ্রবাদীদের সহিংসতা, অগ্নিসংযোগ ও ভূমি দখলের কর্মকাণ্ডের পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত নিশ্চিত করে।
সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে জয়সওয়াল স্পষ্টভাবে বলেন, খাগড়াছড়িতে সহিংসতার ঘটনায় ‘ভারতের ইন্ধন’ থাকার বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার মন্তব্য মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলায় মারমা কিশোরীকে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। পরবর্তী দিন পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সহায়তায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়। বিষয়টি নিয়ে ‘জুম্ম ছাত্র-জনতা’ কয়েক দফা সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করে। এতে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি ও খাগড়াছড়ি-রাঙামাটি সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে এবং গুইমারায় সহিংসতায় অন্তত তিনজন নিহত ও বেশ কিছু দোকানে লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
পরে কিশোরীর স্বাস্থ্য পরীক্ষায় ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। এর মধ্যেই ২৯ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, খাগড়াছড়িতে উত্তেজনা ছড়ানোর পেছনে ভারতের ইন্ধন থাকতে পারে।
এর প্রেক্ষিতে রণধীর জয়সওয়াল মন্তব্য করেন, বাংলাদেশের সরকারের এ ধরনের অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং তারা উগ্রবাদীদের সহিংসতার দিকে নজর দিতে উচিত।
জয়সওয়াল বলেন, সনাতন ধর্মালম্বীদের উৎসবকে শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনের জন্য প্রশাসন যথাযথ প্রস্তুতি নিচ্ছে। তিনি আরও বলেন, পার্বত্য এলাকার উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে সমন্বয় করছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।