Home » সিরাজগঞ্জে আগাম জাতের ধানক্ষেতে পাখির উপদ্রব ঠেকাতে নেট ব্যবহার

সিরাজগঞ্জে আগাম জাতের ধানক্ষেতে পাখির উপদ্রব ঠেকাতে নেট ব্যবহার

ব্রি ১০৩ ধানের বাম্পার ফলনের আশা

0 মন্তব্য গুলি 4 জন দেখেছে 2 মিনিট পড়েছেন

 

এস,এম তফিজ উদ্দিনঃ
সিরাজগঞ্জে এবার ব্রি-১০৩ আগাম জাতের রোপা আমন চাষাবাদে বাম্পার ফলনের
আশা। এ আশা করছেন এখন বিভিন্ন এলাকার কৃষকেরা। ইতিমধ্যেই এ ধান
পাকতেও শুরু করেছে। তবে পাখির উপদ্রব ঠেকাতে নেট দিয়ে এ ধান ক্ষেত ঢেকে
দেয়া হয়েছে । সংশ্লিষ্ট সূয়ত্রে জানা যায়, এ জেলার ৯টি উপজেলার বিভিন্ন
¯’ানে প্রায় ৬ হাজার হেক্টর জমিতে এ আগাম ধান চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ
করা হয়েছিল। কৃষকেরা এ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি চাষাবাদ করেছে। জমিতে চারা
রোপণের প্রায় ৯০ দিনের মধ্যে এ ধানের উৎপাদন হয়ে থাকে। এ কারণে কৃষকেরা
আগাম জাতের রোপা আমন চাষে ঝুকে পড়েছে। এ ধান সবচেয়ে বেশি চাষ
হয়েছে উল্লাপাড়া, তাড়াশ, রায়গঞ্জ, কামারখন্দ ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বিভিন্ন
¯’ানে এবং যমুনা তীরবর্তী ৫টি উপজেলার চরাঞ্চলের বিভিন্ন ¯’ানে এ রোপা
আমন ধান চাষ হয়েছে। ¯’ানীয় কৃষকেরা বলছেন, কয়েক বছর ধরে এ ধানের চাষাবাদ
শুরু হয়েছে এবং উৎপাদন বেশি হওয়ায় এ ধানের চাষাবাদও বাড়ছে। ¯’ানীয় কৃষি
বিভাগের পরামর্শে এ ধান চাষাবাদ করছে কৃষকেরা। তবে সংশ্লিষ্ট উপজেলা কৃষি
বিভাগ থেকে প্রতিবছরের ন্যায় এবারো ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে ব্রি-
১০৩ ধানের বীজ ও সার দেয়া হয়েছে। বীজতলা থেকে চারা উৎপাদনের পর জমিতে
প্রর্দশন আকারে রোপণ করা হয়েছে। এছাড়া কৃষকেরাও লাভজনক এ ধানের
চাষাবাদে ঝুকে পড়েছে। প্রায় ৩ বছর আগে ধান গবেষণা কেন্দ্র থেকে ব্রি-১০৩
আগাম জাতের ধান নামকরণ করা হয়েছে। এ ধান প্রতি বিঘায় ২৪/২৫ মণ উৎপাদন
হয় এবং স্বর্ণা ধানের চেয়ে এ ধান চিকন। এ ধান চাষাবাদে সার ও পানি সেচ
কম লাগে এবং এ ধান উৎপদান বেশি ও অনেক আগেই ঘরে আসে। ইতিমধ্যেই এ
ধান বিভিন্ন ¯’ানে মাঠ জুড়ে পাকতে শুরু করেছে। কিš‘ বিভিন্ন প্রজাতির
পাখি এ আধাপাকা ধান খেতে শুরু করেছে। এমনকি অনেক উড়াল পাখি ধান ক্ষেতে
বাসাও বেঁধেছে। এসব পাখির উপদ্রব ঠেকাতে ধান ক্ষেতে নেট ব্যবহার করা হ”েছ।
এছাড়া এ ধানক্ষেতে ডালপালা ও মূর্তি বানিয়ে রাখা হয়েছে। অবশ্য আর ২/১
সপ্তাহ পরে এ ধান কাটবে কৃষকেরা। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ
বিভাগের উপ-পরিচালক আঃ জাঃ মুঃ আহসান শহীদ সরকার বলেন, ব্রি ১০৩ আগাম
জাতের ধান চাষাবাদে কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। বিশেষ করে প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র
কৃষকদের মাঝে এ ধানে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। এ জাতের ধান উৎপাদনে
প্লট প্রদর্শনও করা হয়েছে। এ ধান চাষাবাদে এবার বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করা

হ”েছ এবং আধাপাকা এ ধান ক্ষেতে বিভিন্ন প্রজাতের পাখির উপদ্রব ঠেকাতে
কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

banner

এই সম্পর্কিত আরো পোস্ট দেখতে পারেন

কমেন্ট লিখুন