তৃণমূলের সংবাদ ডেস্ক:
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপিকে ভাঙতে ও ধ্বংস করতে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। অনেক মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হয়েছে কিন্তু বারবারই বিএনপি ফিনিক্স পাখির মতো জেগে ওঠেছে। গুম-খুন করে, মিথ্যা মামলা সাজিয়ে যারা বিএনপিকে ভাঙতে চেয়েছিল তারাই পালিয়ে গেছে। বিএনপি উড়ে এসে জুড়ে বসেনি। বিএনপি সংগ্রাম করে এ জায়গায় এসেছে।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক পুরাতন স্টেডিয়ামে আয়োজিত জেলা বিএনপির ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, চুয়াত্তরের ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ, লঙ্গরখানা, জালকাপড়ে বাসন্তী আর হেনরি কিসিঞ্জারের তলাবিহীন ঝুড়ির তকমার পর শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছিলেন। যাদের কাল জন্ম হয়েছে, যারা ১৯৭১ সালে ভিন্ন অবস্থানে ছিল তাদের জানা উচিত, বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের দল। একাত্তর সাল আমাদের গর্ব।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ওয়ান-ইলেভেনে নির্যাতন করে যে নেতাকে (তারেক রহমান) নির্বাসিত করা হয়েছিল, তিনিই নতুন করে গণতন্ত্রের স্বপ্ন দেখিয়েছেন। নতুন করে সুযোগ এসেছে তারেক রহমানকে দেশ পরিচালনার সুযোগ করে দেওয়ার। সবাই বিএনপির পক্ষে দাঁড়ান।
সম্মেলনে যোগ দেওয়া কাউন্সিলরদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যে নেতার নামে স্লোগান দেবেন, তারই নাম্বার মাইনাস হবে।
তিনি বলেন, আজকের যে গণতন্ত্রের কথা সবাই বলছে সেই গণতন্ত্র নিয়ে এসেছিলেন জিয়াউর রহমান। আধুনিক বাংলাদেশের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছেন জিয়াউর রহমান। গণ-অভ্যুত্থানে অনেক রক্ত ও ত্যাগের বিনিময়ে এমন মুক্ত পরিবেশে কর্মসূচি পালনের সুযোগ পাচ্ছে বিএনপি। বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও যারা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট তাড়িয়েছে সেই ছাত্র-জনতাকে অভিনন্দন জানাই। তাদের স্যালুট।
কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শরিফুল আলমের সভাপতিত্বে সম্মেলনের সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করেন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মাজহারুল ইসলাম।
সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম বিশেষ অতিথি এবং বিএনপি অন্যতম যুগ্ম মহাসচিব হাবিন-উন-নবী খান সোহেল প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
উপস্থিত ছিলেন- এমরান সালেহ প্রিন্সসহ কেন্দ্রীয়, আঞ্চলিক ও জেলা উপজেলা পর্যায়ের নেতারা।