বিশেষ প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ রেলওয়ে ঢাকা কমলাপুর রেলওয়ে ষ্টেশন থেকে সপ্তাহে ০৬ দিন চালু থাকা যাত্রী বান্ধব আন্তঃনগর চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেন ব্যবস্থাপনায় অতিমাত্রায় টাঙ্গাইল ও ইব্রাহিমাবাদ ষ্টেশন থেকে ঢাকায় যাতায়াতকারীদের প্রতি রেলওয়ে পরিবহন বিভাগের কর্মকর্তাদের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তার দপ্তর থেকে শুরু করে (টি,টি,ই) টিকিট চেকার এবং এ্যাটেন্টডেন্ট পর্যন্ত সকল স্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীদের অফিসিয়াল এবং আনঅফিসিয়াল বিশেষ প্রীতি লক্ষ্য করা যায়।
সাধারণত: রেলওয়ের সময়সূচী অনুযায়ী সপ্তাহে ৬ দিন সন্ধ্যা ৭টায় কমলাপুর থেকে জয়দেবপুর, টাঙ্গাইল যমুনা সেতু-ঈশ্বরদী হয়ে খুলনা অভিমুখী চলাচল করে ট্রেনটি। ট্রেনটির সার্ভিস তুলনামুলক ভালো এবং অফিস শেষে ঢাকা থেকে টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, উল্লাপাড়া, জয়দেবপুর ঈশ্বরদী অঞ্চলের যাত্রী থাকে ৭০% বাকী ৩০% থাকে চুয়াডাঙ্গা, যশোর, খুলনা অভিমুখীগামী।
এই ট্রেনটি কিছুটা যাত্রা সময় পরিবেশ ও সার্ভিস তুলনামুলক পরিচ্ছন্ন এবং ভাল মনে করায় জয়দেবপুর ও টাঙ্গাইল থেকে ঢাকায় অফিস করা লোকজন খুব বেশি পছন্দনীয়। তদুপরি অনেকেই আছে মাসোহারা টিকিটের হ্রাসকৃত মূল্যের সুবিধা।
কমলাপুর ষ্টেশনে এই ট্রেনটির অধিকাংশ টিকিট বিক্রি দেখানো হয় বেলা সাড়ে ৪টা বা ৫টা থেকে। এসি বগীর সিট চেয়ে তো পাওয়া সাধারণ যাত্রীদের জন্য স্বপ্নের ব্যাপার। এসি বগীর সিট নাকি বরাদ্দ থাকে সরকারি ভি,আই,পি এবং রেলওয়ে কর্মকর্তা ও তাদের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের পরিবার-পরিজন সহ আত্মীয়-স্বজনের জন্য। আর কিছু বরাদ্দ থাকে যারা কমলাপুর থেকে টিকিট ইস্যু করেন বা তাদের সহযোগীদের জন্য। যেটা হয়ে থাকে রেলওয়ের অনেক বড় কর্তা, টিকিট পরীক্ষাকারী থেকে শুরু করে এ্যাটেন্টডেন্ট দের উপরী কামাইয়ের প্রধান উৎস।
এ বিষয়ে “তৃণমূলের সংবাদ” ডটকম ২৮ আগষ্ট কথা বলেন রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের সর্বোচ্চ কর্মকর্তা মহাব্যবস্থাপক ফরিদ আহমেদ সাহেবের সাথে। তিনি বিষয়টি তদন্ত করে দেখার আশ্বাস প্রদান করেন।
।।চলমান।।