Home » রাষ্ট্রয়াত্ব রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক অব্যবস্থাপনায় উল্টোপথে দৌঁড়াচ্ছে?

রাষ্ট্রয়াত্ব রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক অব্যবস্থাপনায় উল্টোপথে দৌঁড়াচ্ছে?

এ ঘটনায় অপরজনও ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর

0 মন্তব্য গুলি 85 জন দেখেছে 2 মিনিট পড়েছেন

বিশেষ প্রতিনিধি:
রাষ্ট্রয়াত্ব রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকে নানা অব্যবস্থাপনায় সুনাম হারিয়ে এখন উল্টোপথে দৌঁড়াচ্ছে। এমন অব্যবস্থাপনার মধ্যে উল্লেখযোগ্য তিনটি হত্যা মামলায় ৬ মাসের অধিক সময় যাবৎ হাজতে থাকা সত্বেও তিনি এখন রাকাবের লিগ্যাল এ্যাডভোকেট অপরজনও ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর।

সিরাজগঞ্জসহ উত্তরবঙ্গের গণমানুষের বিশেষ করে কৃষি, মৎস্য, কৃষির সম্প্রসারণসহ জেনারেল ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার প্রত্যয় নিয়ে প্রতিষ্ঠিত সরকারি বিশেষায়িত ব্যাংক হিসাবে ১৯৮৭ সালের ১৫ই মে প্রতিষ্ঠিত হয়ে কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। রাষ্ট্রয়াত্ব ব্যাংকের নাম রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক। এ জনস্বার্থের ব্যাংকটি দেশের এবং কৃষকের ভাগ্য উন্নয়নের যে চ্যালেঞ্জ নিয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে আশা জাগিয়েছে। কিন্তু সে আশা নিয়ে ব্যাংকটির চলার পথে নানা প্রকার অব্যবস্থাপনা ও কতিপয় ক্ষেত্রে জনবল বাছাইসহ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ত্রুটি বিচ্যুত থাকায় ব্যাংকটি বিভিন্ন সময়ে আলোর মুখ দেখলেও নানা প্রতিকুলতায় ব্যাংকটিকে হোঁচট খেতে হয়েছে। এ অব্যবস্থাপনার বহু ইতিহাস সিরাজগঞ্জ অঞ্চলের বেশ কয়েকটি শাখায় ব্যাংকের অফিসার, ম্যানেজার বা দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের দ্বারা গ্রাহকের বিপুল পরিমাণ টাকা লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে এবং একারণে সাধারণ মানুষ সরকারি ব্যাংকে আমানত রাখতে ভয় পাচ্ছে। বিশেষ করে রাকাব বেলকুচি শাখার হাফিজুর নামক একজন কম্পিউটার অপারেটর ওই শাখার তৎকালীন দ্বিতীয় কর্মকর্তা আকবর আলীর প্রত্যক্ষ সহায়তায় নয় বছর একটানা একই ষ্টেশনে কাজ করে ৮৮ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করার পর অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষায় তা ধরা পড়ে।

পরে ওই বিষয়ে বেলকুচি থানায় দুদক আইনে মামলা হলে দূর্নীতি দমন কমিশনের পাবনা সমন্বিত কার্য্যালয়ের একজন অফিসার তদন্ত করে দীর্ঘদিন পর একটি অভিযোগপত্র দাখিল করে। সেই অভিযোগ পত্রে নানা অসঙ্গতি ও ভুল ভ্রান্তি থাকলেও রাকাবের পক্ষ থেকে কোন আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় নাই। যে কারণে বিচারের পদ্ধতিতে ১ নং আসামী হাফিজুর রহমান ব্যতিত সবাই চার্জ গঠনের সময় অব্যাহতি পেয়ে যায়। রাকাবের আইন বিভাগ এক্ষেত্রে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করে নাই। ওই সময় চাকুরী বাঁচাতে ব্যাংকের ইন্টারনাল অডিটের দায় হতে বাঁচবে দায় মাথায় নিয়ে ব্যাংকের তহবিলে টাকা জমা দিলেও আইনের ফাঁক দিয়ে তারাও মুক্তি পেয়ে যায়।
এধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে রাকাব সিরাজগঞ্জ প্রধান শাখা সহ একাধিক শাখায়। বিশিষ্টজনেরা বলছেন, রাষ্ট্রয়াত্ব এ ব্যাংকে বিশেষ তদারকি না থাকায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

রাকাবের নিয়োগ ও পদোন্নতি রয়েছে অনিয়ম এবং দূর্নীতির নানা ইতিহাস। এল,পি,আরে যাওয়া নাটোরে বসবাসকারী তৎকালীন রাকাবের আলোচিত ডিজিএম রনজিত বাবু ছিলেন পদোন্নতির এক বিচিত্র যাদুকর। ব্যাংকের তৎকালীন উর্দ্ধতন কর্তারা যেন ছিলেন রনজিত বাবুদের কাছে জিম্মি।

এখনও কি থেমে আছে অব্যবস্থাপনা ৬ মাসের অধিক সময় যাবত এটি আলোচিত হত্যা মামলায় হাজতাবদ্ধ থাকলেও এখনও তিনি রাকাবের সিরাজগঞ্জ অঞ্চলের লিগ্যাল এ্যাডভাইজার। এ ব্যাপারে রাকাবের জোনাল হেড জনাব আশরাফুল আলম রঞ্জু সাহেবেকে “তৃণমূলের সংবাদ” এর পক্ষ থেকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি এ প্রতিনিধিকে জানান এ্যাডঃ রেজাউল করিম রাখাল সাহেবের কাছে থাকা মামলাগুলো, রাকাবের অন্য আইনজীবীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তদন্তে জানা যায়, রাষ্ট্রায়ত্ব এই ব্যাংকটির সিরাজগঞ্জ অঞ্চলের অপর বিজ্ঞ আইনজীবী সাহেবও ছিলেন ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলের সরকারি উকিল।

banner

এই সম্পর্কিত আরো পোস্ট দেখতে পারেন

কমেন্ট লিখুন