Home » সিরাজগঞ্জে জলাবদ্ধতায় ৩’শ বিঘা জমি অনাবাদি ॥ কৃষকেরা হতাশ !

সিরাজগঞ্জে জলাবদ্ধতায় ৩’শ বিঘা জমি অনাবাদি ॥ কৃষকেরা হতাশ !

0 মন্তব্য গুলি 18 জন দেখেছে 2 মিনিট পড়েছেন

এস,এম তফিজ উদ্দিন
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার মুনসুমি গ্রামে পানি নিষ্কাশনে একটি কালভার্ট ব্রিজের অভাবে প্রায় ৩’শ বিঘা জমি জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। আর এ গ্রামের মাঝপথে এ জলাবদ্ধতা দীর্ঘদিনের। এতে কৃষকেরা জমিতে চাষাবাদ করতে পারছেনা। পানির নিচে ডুবে আছে বিভিন্ন ফসল চাষের জমি। এ সমস্যা নিরসনে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেও কাজ হয়নি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, উক্ত মুনসুমি গ্রামে প্রায় ৫ হাজার লোকের বসবাস। এ গ্রামের পূর্বে চন্দ্রকোণা ও পশ্চিমে বহুলী নামে দুটি আঞ্চলিক নদী বয়ে গেছে এবং ওই গ্রামের দক্ষিণে নূরনবীর বাড়ি থেকে উত্তরে সাটিকাবাড়ি পর্যন্ত ৩’শ বিঘা জমি জুড়ে এখন জলাবদ্ধতায়। এ দীর্ঘমেয়াদী জলাবদ্ধতার কারণে কৃষকেরা তাদের এ জমিতে চাষাবাদ থেকে বঞ্চিত হয়ে পড়েছে। স্থানীয় কৃষক রেজাউল করিম, বনি ইয়ামিন, নূরনবী ও আনোয়ার মাস্টারসহ অনেক কৃষক বলেছেন, প্রবল বর্ষনে প্রতিবছর এ গ্রামের কিছুটা নিচু এলাকার মাঝপথে পানিতে সয়লাব হয়। বিশেষ করে জুন মাস থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত এ জলাবদ্ধতায় প্রায় ৩’শ বিঘা জমি পানির নিচে থাকে। পানি নিষ্কাশনে মাত্র একটি কালভার্ট ব্রিজের অভাবে এ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এ ভায়াবহ জলাবদ্ধতায় কস্তুরি ও কচুরিপানাসহ নানা আবর্জনায় গড়ে উঠেছে। এ কারণে কৃষকেরা সেখানে চাষাবাদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে প্রতিবছর। এমনকি ওই গ্রামের সরকারি প্রাথমিক স্কুলও এখন জলাবদ্ধতার কিনারে পড়েছে এবং চলাচলেও এখন চরম বিঘœ ঘটছে। এ কারণে এখন চরম হতাশায় ভুগছে গ্রামবাসী। ওই গ্রামের উত্তরে পাকা সড়কের মোড় থেকে পশ্চিম দিকে একটি পাকা সড়ক নির্মাণ প্রয়োজন এবং এ সড়কের মাঝখানে পানি নিষ্কাশনে একটি কালভার্ট ব্রিজ নির্মাণ করলে এই জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাবে কৃষকেরা এবং ওই জমিতে উৎপাদনও হবে প্রতিবছর। এ বিষয়ে বিগত সরকার আমলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন বরাবর একাধিকবার আবেদন করা হয়েছিল। এ আবেদনে জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের লোকজন সরজমিনে পরিদর্শন করেছেন। কিন্তু আজও অজ্ঞাত কারণে জলাবদ্ধতা থেকে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে পারেনি। তারা আরো আক্ষেপ করে বলেন, খোকশাবাড়ি ইউনিয়ন বহুলী ইউনিয়নের মধ্যবর্তী এই গ্রাম এবং জনবসতি মুনসুমি গ্রামটি খোকশাবাড়ি ইউনিয়নের অন্তর্গত। সে সময়ে ওই ২ ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের অজ্ঞাত কারণেই পানি নিষ্কাশনের সড়ক ও কালভার্ট ব্রিজ নির্মান হয়নি। এ জলাবদ্ধতা নিরসনের ব্যবস্থা না করলে ফসলি জমি অনাবাদি হয়েই থাকবে। এজন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন ভ’ক্তভোগী কৃষকেরা।

এই সম্পর্কিত আরো পোস্ট দেখতে পারেন

কমেন্ট লিখুন