Home » ২৫ বছরেও হয়নি এমপিও, মানবেতর জীবন শিক্ষক-কর্মচারিদের

২৫ বছরেও হয়নি এমপিও, মানবেতর জীবন শিক্ষক-কর্মচারিদের

দিঘীসদগুনা এম.এ.আর নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়

0 মন্তব্য গুলি 15 জন দেখেছে 2 মিনিট পড়েছেন

তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি :

প্রায় ২৫ বছর আগে এলাকার শিক্ষা বিস্তারের জন্য সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার প্রত্যন্ত দিঘীসগুনা গ্রামে প্রতিষ্ঠিত হয় দিঘীসদগুনা এম.এ.আর নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়টি।  প্রতিষ্ঠার পর থেকে শিক্ষক-কর্মচারিরা প্রতিষ্ঠানটিকে এগিয়ে নিতে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তাদের পরিশ্রমে শিক্ষার্থীরা ভালো ফলাফল করে আসছে। দীর্ঘদিন ধরে  সুনামের সাথেই প্রতিষ্ঠানটি পরিচালিত হতে থাকে।  এরপর দেখতে দেখতে ২৫টা বছর কেটে গেল। কিন্তু এমপিও (মান্থলি পে অর্ডার) হয়নি।  এমপিও ভুক্ত না হওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন ৯ জন শিক্ষক ও ৩ জন কর্মচারি। দীর্ঘদিন ধরে তারা বেতন ভাতা না পাওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে চরম মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রতিষ্ঠানের এক শিক্ষক জনতার কন্ঠকে বলেন, এমপিও হবে এ আশায় দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষা করছি। এখন আর পারছি না। পরিবার নিয়ে চরম দূর্দিনের মধ্য দিয়ে চলছে। দেনার দায়ে রাস্তায় চলা দায় হয়ে পড়েছে। যথাসময়ে পাওনা টাকা পরিশোধ করতে না পারায় দোকানদাররা আর আমাদের বাকিতে জিনিসপত্র দিতে চাচ্ছে না।  তিনি জানান, তার দিঘীসদগুনা এম.এ.আর নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়টি ২০০০ইং সালে প্রতিষ্ঠি হয়। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সুনামের সাথেই পাঠদান ও শিক্ষার্থীরা ভালো ফলাফল করে আসছে। তিনি বলেন, এমপিও বূক্তির সকল শর্ত পূরণ করা সত্বেও বিদ্যালয়টির অনুমোদন না হওয়ায় আমরা হতাশ হয়ে পড়েছি।

বিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মির্জা আব্দুর রশীদ মাহমুদ বকুল বলেন, এমপিও ভুক্তির সকল শর্ত পূরণ করা হয়েছে। এছাড়া পাঠদান ও শিক্ষার্থীরা জে.এস.সিতে ভালো ফলাফল করে আসলেও বিদ্যালয়টি এখনও এমপিও ভুক্ত না হওয়ায় শিক্ষক-কর্মচারীরা হতাশ হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার জন আকাঙ্খার সরকার, আশাকরি তারা হয়তো শিক্ষক,কর্মচারি ও শিক্ষার্থীদেও যথাযথ মূল্যায়ন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে দিঘীসদগুনা এম.এ.আর নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়টি এমপিও ভুক্ত করবেন।

banner

তিনি আরও বলেন, পলাতক আওয়ামীলীগ সরকার আমলে সিরাজগঞ্জ-৩ (তাড়াশ-রায়গঞ্জ) আসনের সাবেক এমপি ডা. আব্দুল আজিজ ও তার অনুগত বাহিনীর বাঁধার কারণে বিদ্যালয়টি এখনও এমপিওভুক্ত হয়নি। ফলে বর্তমান অন্তর্বতীকালীন সরকার আমাদের চলবিলের হতদরিদ্র জনপদের নারী শিক্ষার বিকাশ ও আলোকিত নারী সমাজ গড়ে তুলতে বিদ্যালয়টি দ্রুত এমপিও ভুক্তির জোর দাবী জানাচ্ছি।

তাড়াশ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুস সালাম বলেন, একটি বিদ্যালয় এমপিও ভুক্ত হতে এতো সময় লাগার কথা নয়। এ বিদ্যালয়টি এখনও কেনো হয়নি তা আমার বোধগম্য নয়। বিষয়টি অমানবিক ও দুঃখজনক। আমি চাই এটি দ্রুত এমপিও হোক। তিনি বলেন, বিদ্যালয়টির হালনাগাদ কাগজপত্র আমার কাছে জমাদিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে দ্রুত পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

এই সম্পর্কিত আরো পোস্ট দেখতে পারেন

কমেন্ট লিখুন