আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল‑১ এর আজকের শুনানিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু‑র মধ্যে কথোপকথনের একটি অডিও ক্লিপ শোনানো হয়েছে, যেখানে হেলিকপ্টার দিয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার নির্দেশ দেওয়ার কথা রয়েছে।
৫৩তম সাক্ষীর জবানবন্দিতে বিশেষ তদন্ত কর্মকর্তা তানভীর হাসান জোহা ট্রাইবুনালে পাঁচটি অডিও ক্লিপ জমা দেন। এর মধ্যে চারটি ক্লিপ বাজিয়ে শোনানো হয়। এই ক্লিপগুলোর মধ্যে দুটি শেখ হাসিনা ও ইনুর মধ্যে হওয়া ফোনালাপ; যেখানে শেখ হাসিনাকে আন্দোলন দমনে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলা হচ্ছে।
ফোনালাপের একটি অংশে হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘আমি মনে করি যে আপনার পদক্ষেপটা সঠিকই হয়েছে। এখন পর্যন্ত যা রিপোর্ট বাংলাদেশে পাচ্ছি আর কি। খালি ঢাকায় আপনার রামপুরার দিকে এবং শনির আখড়াতে।’ জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘না, রামপুরা ক্লিয়ার। শনির আখড়ায় একটু ঝামেলা এখনও আছে।’
এসময় ইনু শনির আখড়ায় কিছু ‘মোল্লা’ নাশকতা করার চেষ্টা করছে উল্লেখ করার পরই তার কথা পুরোটা শেষ হওয়ার (বাক্য সম্পূর্ণ হওয়ার) আগেই পাল্টা উত্তরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘খালি মোল্লা না, সেখানে অনেক মাদরাসা। ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। মাইকিং করতে বলেছি। নারায়ণগঞ্জে ঢুকতে দিচ্ছে না আর্মিকে। আমরা ছত্রীসেনা নামাচ্ছি।
আলোচনায় আরও উঠে আসে, ইনু ইন্টারনেট চালু করার প্রস্তাব দিলে শেখ হাসিনা বলেন, “ডেটা সেন্টার পুড়ে গেছে … নাশকতাকারীরা সেগুলো নষ্ট করেছে।” এরপর তিনি আরও বলেন, “পরবর্তী যে সরকার আসবে তারা এগুলো ঠিক করবে।”
ট্রাইবুনালে তানভীর জোহা জানিয়েছেন, ২৩ ডিসেম্বর এনটিএমসি থেকে শেখ হাসিনার ৬৯টি অডিও ক্লিপ এবং তিনটি মোবাইল নম্বরের সিডিআর জব্দ করা হয়েছিল।
প্রসিকিউশন দাবি করছে, এই ক্লিপগুলি শুধুমাত্র পরোক্ষ প্রমাণ নয়, বরং সরাসরি নির্দেশ ও পরিকল্পনার অন্তর্দৃষ্টির প্রমাণ হিসেবে রাখা যেতে পারে।
সূত্র: ইত্তেফাক।