বিশেষ প্রতিবেদকঃ
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী যুবক শামীম ইসলাম হত্যার রহস্য
উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের বোনসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করা
হয়েছে। তারা হলো, শামীমের ছোট বোন রেশমা খাতুন (২৫), ভাবি হাফিজা
খাতুন (৪২), কারখানার নিরাপত্তাকর্মী গোলাম মোস্তফা (৫৫), সুমন চন্দ্র
ভৌমিক (২৮), তপু সরকার (১৯) ও শফিকুল ইসলাম (৪০)। সিরাজগঞ্জ জেলা পুলিশ
বৃহস্প্রতিবার বিকেলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। প্রেস
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কামারখন্দ উপজেলার কুটিরচর গ্রামের সাইফুল ইসলামের
মেয়ে রেশমা খাতুন এসিআই ফুড কারখানায় চাকরি করতো এবং সেখানে
কর্মরত নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক ছিল। একরাতে তার ভাই শামীম
চুরির উদ্দেশ্যে কারখানার ভেতরে প্রবেশ করে। সেখানে গিয়ে ছোট বোনকে
নিরাপত্তাকর্মীসহ বাকিদের সঙ্গে দেখে ফেলে। এ ঘটনা ফাঁস হয়ে যাওয়ার
আশঙ্কায় রেশমা পাশের বাড়ির ভাবি হাফিজা খাতুনসহ সবাইকে নিয়ে শামীমকে
হত্যার পরিকল্পনা করে। একপর্যায়ে গত ২ জুলাই রাতে শামীম ইসলামকে হাফিজা
খাতুন কারখানার পাশে তার বাসায় নিয়ে যায় এবং রেশমা খাতুনকে জানায়। এ
সময় রেশমা মাস্ক পরিহিত অব¯’ায় অ্যাসিড নিয়ে আরো দুজনসহ ঘটনা¯’লে
যায়। গোলাম মোস্তফা ও সুমন চন্দ্র ভৌমিক শামীমের ২ হাত ধরে রাখে এবং
শফিকুল ইসলাম ছুরি দিয়ে শামীমের বুকে আঘাত করে। ছোট রেশমা শামীমের ওপর
অ্যাসিড ঢেলে মৃত্যু নিশ্চিত করে লাশ কারখানার পাশের ডোবায় ফেলে দেয়। এ
ঘটনার ২ দিন পর এসিআই ফুড কারখানার ডোবা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
লাশের গলায় গামছা পেচানো, শরীর অ্যাসিডে ঝলসানো ও আঘাতের চিহ্ন ছিল। এ
ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলায় তাদের গ্রেফতার করা
হয়েছে এবং তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।