Home » সিরাজগঞ্জে ক্লিনিক আছে ঔষধ নেই হতাশায় রোগী

সিরাজগঞ্জে ক্লিনিক আছে ঔষধ নেই হতাশায় রোগী

0 মন্তব্য গুলি 4 জন দেখেছে 1 মিনিট পড়েছেন

বিশেষ প্রতিনিধিঃ

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে  ক্লিনিক আছে ঔষধ নেই,হতাশায় রোগী।এমন অভিযোগ এখন সর্বত্র।এমন দুর্ভোগে তাড়াশের বিভিন্ন স্থানে জনমনে অসন্তুষ্টির সৃষ্টি হয়েছে। এ জেলার  ভাটারপাড়া গ্রামের রজনী মাহাতো  জ্বর ও শরীর ব্যথা নিয়ে এসেছেন কমিউনিটি ক্লিনিকে। কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) সঞ্জিত কুমার তাঁকে দেখে ব্যবস্থাপত্র দেন। ওষুধ চাইলে বাজার থেকে কিনতে বলেছেন।

এ সময়  রজনী মাহাতো বলেন, ‘আগে জ্বর, সর্দি-কাশির মতো সাধারণ রোগের জন্য ওষুধ বিনামূল্যে পাওয়া যেত। এখন বাইরে থেকে কিনতে বলা হচ্ছে। এটি আমাদের জন্য কষ্টকর।’
এ চিত্র শুধু ভাটারপাড়া কমিউনিটি ক্লিনিক নয়; এ অবস্থা তাড়াশ উপজেলার ৩০টি কমিউনিটি ক্লিনিকে। সাড়ে তিন মাস ধরে এসব স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। প্রতিদিন রোগী সেবা নিতে এসে শুধু পরামর্শ নিয়েই ফিরে যাচ্ছেন। এতে হতাশ প্রান্তিক অঞ্চলের রোগীরা।

সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, প্রত্যন্ত জনপদের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে তাড়াশের আটটি ইউনিয়ন ও একটি পৌর এলাকায় ৩১টি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করা হয়েছে। বর্তমানে ৩০টি চালু আছে। আগে এসব ক্লিনিক থেকে রোগীদের মধ্যে বিনামূল্যে ২২ ধরনের ওষুধ সরবরাহ করা হতো। সাড়ে তিন মাস ধরে রোগীরা ওষুধ পাচ্ছেন না।
শোলাপাড়া কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি ফিরোজ জামান জানান, আগে তিন মাস পরপর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ২২ ধরনের ওষুধ সরবরাহ করা হতো। ৩ হাজার ৫০০ থেকে ৩ হাজার ৭০০ রোগী ব্যবস্থাপত্রের অনুকূলে এ সুবিধা পেতেন। গত ১৬ জুন সর্বশেষ এক কার্টন ওষুধ সরবরাহ করা হয়েছিল, যা সপ্তাহ দুই চলার পর শেষ হয়ে যায়। এরপর আর কোনো ওষুধ সরবরাহ করা হয়নি।
আমাদের অনেক উপকার হয়েছে।’ একই অবস্থা দেখা গেছে সোলাপাড়া কমিউনিটি ক্লিনিকে।
সোলাপাড়া কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি ফিরোজ জামান বলেন, ‘দুই মাস হলো ওষুধের সরবরাহ নেই। রোগীরা খুব একটা আসেন না। যারা আসেন, তাদের অনেকেই বিষয়টা বুঝতে চান না। ওষুধ না পেয়ে গালাগাল করেন। বিষয়টি কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে।’

banner

এই সম্পর্কিত আরো পোস্ট দেখতে পারেন

কমেন্ট লিখুন