Home » শিক্ষকদের মধ্যে হাতাহাতি, তথ্যের জন্য গেলে সাংবাদিককে হেনস্তা

শিক্ষকদের মধ্যে হাতাহাতি, তথ্যের জন্য গেলে সাংবাদিককে হেনস্তা

0 মন্তব্য গুলি 18 জন দেখেছে 1 মিনিট পড়েছেন

নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি :
নওগাঁর পত্নীতলায় একটি বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। স্কুল চলাকালীন সময়েই তর্কাতর্কি থেকে হাতাহাতির এই ঘটনা ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।  এদিকে খবর পেয়ে বিদ্যায়লটিতে স্থানীয় সাংবাদিকরা গেলে ওই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম মন্ডল হেনস্তা করেন।

বৃহষ্পতিবার (৭ আগস্ট) রাত ৮ টার দিকে হেনস্তার শিকার ভুক্তভোগী সাংবাদিক ক্ষোভ নিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে এদিন সকাল ১১টার দিকে উপজেলার নজিপুর সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটে।

বিদ্যালয়টির শিক্ষকরা জানান, বিদ্যালয়টি কারিগরি শিক্ষক দিয়ে জেনারেল শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেওযায় শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। বৃহস্পতিবারও বিদ্যালয়টির কারিগরি শিক্ষক দিয়ে জেনারেল শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেওয়া হয়। এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষকের রুমে গিয়ে অন্যান্য শিক্ষকরা জানতে চায় কারিগরি শিক্ষক দিয়ে কিভাবে জেনারেল শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেওয়া যায়। এসময় প্রধান শিক্ষক কোন কইফত দিতে না চাইলে প্রধান শিক্ষকের রুমেই বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন শিক্ষকদের দুটি পক্ষ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানা পুলিশ।

এদিকে স্কুল চলাকালীন সময়ে শিক্ষকদের এমন কর্মকান্ডে হতভাগ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। তারা বলেছেন, এতে করে শিক্ষার যে পরিবেশ সেটি নষ্ট হচ্ছে। তাই দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে দ্বন্দ্ব নিরসন করে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার। আবার এ ঘটনায় সাংবাদিক ও শিক্ষক সমাজে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই বলছেন, একজন সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে প্রধান শিক্ষকের এমন আচরণ শোভনীয় নয়।

banner

এবিষয়ে প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) রেজাউল করিম মন্ডল জানান, বিদ্যালয়টি শিক্ষক সংকট থাকায় কারিগরি শিক্ষক দিয়ে জেনারেল শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেওয়া হয়। এনিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে দলাদলি সৃষ্টি হয়। আজকে এই নিয়ে একটু শিক্ষকদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে।

সাংবাদিকদের হেনস্থা করার বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক জানান, তখন মাথা ঠিক ছিলো না।

জেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মো.শাহাদৎ হোসেন বলেন, এরআগে বিদ্যালয়টিতে তদন্তে গিয়ে এবিষয়ে মিমাংসা করে দিয়ে এসেছিলাম। আজকের এই বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পত্নীতলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আলীমুজ্জামান মিলন জানান, এবিষয়ে কিছু জানার থাকলে প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে জানেন।

এই সম্পর্কিত আরো পোস্ট দেখতে পারেন

কমেন্ট লিখুন