নেপালের রাজনৈতিক অস্থিরতা আর সহিংসতার কারণে কাঠমান্ডুতে আটকে পড়েছিল বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। তিন দিন অনিশ্চয়তায় কাটানোর পর অবশেষে বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টম্বের) বিকেলে তারা নিরাপদে দেশে ফিরেছেন।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর বিশেষ ফ্লাইট দলটিকে নিয়ে অবতরণ করে কুর্মিটোলায় বিমানবাহিনীর ঘাঁটি বীর উত্তম একে খন্দকারে। দলের সঙ্গে একই বিমানে ফিরেছেন সংবাদ সংগ্রহের জন্য নেপালে যাওয়া সাংবাদিকরাও।
দুটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ খেলতে ৩ সেপ্টেম্বর নেপালে গিয়েছিল বাংলাদেশ দল। ৬ সেপ্টেম্বরের প্রথম ম্যাচ গোলশূন্য ড্র হলেও ৯ সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়নি। কারণ দেশজুড়ে সরকারবিরোধী আন্দোলন তীব্র হয়ে ওঠে।
সোশাল মিডিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার এবং দুর্নীতির প্রতিবাদে জেন-জি প্রজন্মের আন্দোলন সহিংস রূপ নেয়। বিভিন্ন স্থানে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাণ হারান ২২ জন। প্রধানমন্ত্রীসহ একাধিক মন্ত্রী পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। পার্লামেন্ট ভবন ও মন্ত্রীদের বাসভবনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
এই পরিস্থিতিতে কাঠমান্ডুতে জারি হয় কারফিউ, বন্ধ হয়ে যায় বিমানবন্দর। ফলে স্থানীয় হোটেলেই বন্দি অবস্থায় সময় কাটাতে হয় কোচ, খেলোয়াড় ও স্টাফদের।
বাংলাদেশ সরকার, বাফুফে এবং কাঠমান্ডুর বাংলাদেশ দূতাবাসের সমন্বিত প্রচেষ্টায় অবশেষে শুরু হয় দলের প্রত্যাবর্তনের উদ্যোগ। মঙ্গলবার একটি বিমান কাঠমান্ডুর উদ্দেশে গেলেও ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেমে পড়ার অনুমতি না পাওয়ায় সেটি ঢাকায় ফিরে আসে।
পরবর্তী দুই দিন টানটান উত্তেজনা শেষে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলেই মিলেছে মুক্তি। দেশে ফেরার পর স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে পুরো দল ও তাদের পরিবার।
“সুত্র: খবরের কাগজ”