তৃণমূলের সংবাদ ডেস্ক:
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ অনুযায়ী আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই ভোট অনুষ্ঠিত হবে। এ লক্ষ্যে একক প্রার্থী চূড়ান্ত করতে তৎপর বিএনপি। সব বিভাগেই ‘জেন-জি’ প্রজন্মকে গুরুত্ব দিয়ে সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকা করা হচ্ছে। এবারের মনোনয়নে চমক হতে পারেন যোগ্য তরুণরা।
দলের শীর্ষ পর্যায়ের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রার্থীদের বাছাইয়ে দেখা হচ্ছে কয়েকটি বিষয়—নিজ এলাকায় জনপ্রিয়তা, দলের জন্য ত্যাগ, ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন-সংগ্রামে ভূমিকা, দুঃসময়ে নেতা-কর্মীদের পাশে থাকা এবং সাংগঠনিক দক্ষতা। ইতোমধ্যে এই যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া প্রায় শেষ পর্যায়ে।
সম্প্রতি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “মনোনয়নের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি তরুণদের প্রাধান্য দেওয়া হবে। মানদণ্ড হবে প্রার্থীর জনপ্রিয়তা, নির্বাচন করার ক্ষমতা, সাংগঠনিক দক্ষতা, জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা এবং বিগত আন্দোলনে তার অংশগ্রহণ।”
রাজশাহী বিভাগে ইতোমধ্যেই তরুণ ও প্রবীণ প্রার্থীদের মধ্যে বেশ কয়েকজন নাম আলোচনায় এসেছে। এর মধ্যে রয়েছেন—রাজশাহী-২ আসনে অ্যাডভোকেট এরশাদ আলী ঈশা, রাজশাহী-৩ আসনে শফিকুল হক মিলন ও রায়হানুল আলম রায়হান, রাজশাহী-৪ আসনে অধ্যাপক কামাল হোসেন, রাজশাহী-৫ আসনে মাহমুদা হাবীবা, আবু বকর সিদ্দিক ও গোলাম মোস্তফা, রাজশাহী-৬ আসনে আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বল।
এছাড়া সিরাজগঞ্জ-৫ আসনে আমিরুল ইসলাম খান আলীম, নাটোর-১ আসনে তাইফুল ইসলাম টিপু, ডা. ইয়াসির আরাফাত রাজন ও ফারজানা শারমিন পুতুল, নাটোর-২ আসনে রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, বগুড়া-৫ আসনে ফজলুর রহমান খোকন, জয়পুরহাট-২ আসনে প্রকৌশলী আমিনুর ইসলাম, সিরাজগঞ্জ-৬ আসনে গোলাম সারওয়ার, সিরাজগঞ্জ-৩ আসনে মো. রকিবুল করিম খান পাপ্পু আলোচনায় রয়েছেন।
খুলনা ও পাবনা অঞ্চলেও সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন পাবনা-৩ আসনে কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন এবং পাবনা-৫ আসনে অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস।
বিএনপি সূত্র বলছে, তরুণ প্রার্থীদের এগিয়ে এনে মাঠে নতুন উদ্যম সৃষ্টি করতে চায় দল। তবে প্রবীণদের অভিজ্ঞতাও সমানভাবে বিবেচনায় রাখা হচ্ছে।