প্রকৃতির অপূর্ব রূপ বিছিয়ে রেখেছে সীমান্তবর্তী জেলা নেত্রকোনায়। সেখানকার পাহাড়, নদী আর সবুজ লীলাভূমি দেখতে হাজারো মানুষ ছুটে যায়। তবে অভিনেতা খায়রুল বাসার ও অভিনেত্রী তানজিন তিশা গিয়েছিলেন সেখানকার একটি অচেনা গ্রামে। নাম ফান্দা।
উদ্দেশ্য অবশ্য ঘোরাঘুরি নয়, শুটিং। এ কে পরাগের সে নাটকের নামও ‘ফান্দা’। মূলত গ্রামের নাম থেকেই নাটকটির নামকরণ করেছেন তিনি। আর গল্পেও আছে সেখানকার জীবন-জীবিকার উপস্থিতি।
চাইলে ঢাকার আশপাশের কোনো গ্রামেও শুটিং সেরে নিতে পারতেন তাঁরা। তবে যে গ্রামের গল্প, যে গ্রামেই ছুটে গেলেন ‘ফান্দা’ টিমের সদস্যরা। নির্মাতা পরাগ বলেন, ‘ফান্দা গ্রামের মানুষের জীবনের গল্প নিয়েই এ নাটক। এতে খলিল নামে এক চরিত্র আছে, যে ঋণে জর্জরিত।
তার আচার-আচরণ, কার্যকলাপ দেখে গ্রামের মানুষ ভাবে তাকে জিনে ধরেছে। এ নিয়ে চলে নানা কাণ্ড।’
অভিনেতা বাসার জানালেন, তিনি গল্পটি পড়ার পরই একবাক্যে রাজি হয়ে যান। তাঁর ভাষ্য, ‘এটা আসলে আমার কাছে রহস্য গল্প। এখানে আমি যে চরিত্রে অভিনয় করেছি, সেটার রহস্যময় চলন আছে।
সে সরল নিম্নবিত্ত মানুষের প্রতিনিধিত্ব করলেও তার পেশা, তার লক্ষ্য, তার চাতুরতা তাকে সরলভাবেই আলাদা করেছে এই গল্পে। এই নানা মাতৃক চলনের চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ কমই আসে। তাই গল্পটা পড়ার পরই আমি এক বাক্যে রাজি হয়ে যাই। ফান্দা গ্রামের মানুষেরও প্রেমে পড়ে গেছি গল্পটা পড়ে। জীবনকে একটু সাজাতে, নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করতে গিয়ে একটা মানুষ পরিবার ও সমাজকে নিত্যদিন এক অদ্ভুত বাস্তবতার সঙ্গে পরিচয় করিয়েছে। শুটিংয়ের সময়টা সহশিল্পী তানজিন তিশাসহ সবাই দারুণ উপভোগ করেছি।’
হেড অব রেডিও ক্যাপিটাল আনোয়ারুল আলম সজল বলেন, “আমরা চেষ্টা করছি বৈচিত্র্যময় সব গল্প তুলে আনতে। ‘ফান্দা’ তেমনই এক নাটক। এখানে দর্শক আনন্দ যেমন পাবে, তেমনি জানবে একটি গ্রাম ও সমাজের চিত্রও।”
১১ সেপ্টেম্বর ক্যাপিটাল ড্রামার ইউটিউব চ্যানেলে উন্মুক্ত হবে নাটকটি। প্রসঙ্গত, এর আগে চ্যানেলটিতে এসেছে সাতটি নাটক, প্রতিটিই পেয়েছে দর্শকপ্রিয়তা। সর্বশেষ ২৮ আগস্ট এসেছে ভিকি জাহেদের ‘খোয়াবনামা’, সাত দিনে এটির ভিউ ছাড়িয়েছে ৪৫ লাখ।