পি আর পদ্ধতি
# জামায়াতের ৩ দিনের কর্মসূচি, ৫ দফা দাবি
# ইসলামী আন্দোলনের ৫ দফা দাবিতে কর্মসূচি ঘোষণা
# ৬ দাবিতে ৩ দিনের কর্মসূচি খেলাফত মজলিসের
# এবিপার্টি ও গণঅধিকার পরিষদ সিদ্ধান্তহীনতায়
অবিলম্বে জুলাই সনদ বাস্তবায়নসহ কয়েক দফা দাবি নিয়ে যুগপৎ আন্দোলনে নামছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও চরমোনাই পীরের দল ইসলামী আন্দোলনসহ কয়েকটি ইসলামি রাজনৈতিক দল। এতে যুক্ত হওয়া অন্যান্য দলের মধ্যে রয়েছে মাওলানা মামুনুল হকের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, মাওলানা আবদুল বাছিত আজাদ ও আহমদ আবদুল কাদেরের নেতৃত্বাধীন খেলাফত মজলিস এবং সরওয়ার কামাল আজিজীর নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি। তবে এনসিপি, এবিপার্টি ও গণঅধিকার পরিষদের নাম শোনা গেলেও তারা এখনো এই ধরনের কোন ঘোষণা দেয়নি।
সূত্র জানায়, কয়েক দফা বৈঠকের পর জুলাই জাতীয় সনদের আইনি ভিত্তি এবং বাস্তবায়নসহ এর ভিত্তিতে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ চার দফা দাবিতে কয়েকটি ধর্মভিত্তিক দল যুগপৎ কর্মসূচি শুরুর বিষয়ে একমত হয়েছে।
গতকাল ইসলামপন্থী দলগুলোর মধ্যে জামায়াত, ইসলামী আন্দোলন ও খেলাফত মজলিস আলাদা সংবাদ সম্মেলন করে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরে বিভিন্ন দাবী জানিয়ে মাঠের কর্মসূচি ঘোষণা দেয়। জুলাই জাতীয় সনদ ও পিআর পদ্ধতিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনসহ ৫ গণদাবি আদায়ে চলতি মাসে ৩ দিনের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
গতকাল সোমবার দুপুরে দলটি মগবাজার আল-ফালাহ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনের এই ৫ দাবি ও ৩ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তিনি বলেন, ‘আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায় সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল। ১৯ সেপ্টেম্বর দেশের সব বিভাগীয় শহরে বিক্ষোভ মিছিল, ২৬ সেপ্টেম্বর দেশের সব জেলা উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল করা হবে।
এ সময় ডা. তাহের বলেন, একতরফাভাবে নির্বাচন কমিশনের রোডম্যাপ ঘোষণা অন্যায় হয়েছে বলে আমরা মনে করি। কালো টাকার ব্যবহার, পেশিশক্তি ও নির্বাচনী অনিয়ম বন্ধে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন করতে হবে। মানুষের দাবিকে উপেক্ষা করায় গণআন্দোলনের বিকল্প নেই। আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব না এমন কথা কখনও বলিনি। আমরা বলেছি, আমাদের দাবি মেনে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। আমরা জুলাই সনদের আইনি ভিত্তিতে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি।
নির্বাচন পেছাতে চাওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা তাদের জিজ্ঞাসা করুন, কী প্রমাণ আছে আমরা নির্বাচন পেছাতে চাচ্ছি? তিনজন সচিবকে জামায়াতপন্থি বলা হচ্ছে, তাহলে বাকি ৯৭ জন কার? আমরা এসব বলি না, কারণ আমরা এসব নোংরামিতে বিশ্বাস করি না।
তিনি আরও বলেন, পিআর পদ্ধতিতে ভোট দিতে কোনো জটিলতা নেই, বিদ্যমান পদ্ধতির মতোই। বরং জনগণের মধ্যে পদ্ধতিগত জটিলতা কমবে। অন্য দলের দাবি যৌক্তিক হলে সেটাও মানতে বলব, আমাদের দাবি যৌক্তিক হলে সেটাও মানতে বলব– যুক্তিই ঠিক করবে কোনটা যৌক্তিক। নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তার প্রশ্নে ডা. তাহের বলেন, নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা আছে বলে মনে করি না। ফেব্রুয়ারির আগে এখনও পাঁচ মাস সময় রয়েছে, এর মধ্যে আমাদের দাবি পূরণ সম্ভব।
জামায়াতের ৫ দফা দাবিগুলো হলো-
১. জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। ২. আগামী জাতীয় নির্বাচনে সংসদের উভয়কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু করতে হবে। ৩. অবাধ সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা। ৪. ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম ও গণহত্যা, দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা। ৫. স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।
পিআরসহ ৫ দফা দাবিতে একই সময়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছে। গতকাল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহম্মাদ রেজাউল করীম এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এসময় তিনি বলেন, জুলাইতে ছাত্র-জনতা রক্ত দিয়েছে দেশকে স্থায়ীভাবে স্বৈরতন্ত্রের কবল থেকে রক্ষা করা, রাষ্ট্রের পরতে পরতে জমা হওয়া ৫৪ বছরের জঞ্জাল দূর করা, ক্ষমতার ভারসাম্য আনা, সর্বত্র জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সক্রিয় ও স্বাধীন করার জন্য মৌলিক সংস্কার করার জন্য এবং দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির শুদ্ধতা আনা ও সব নাগরিকের ভোটের অধিকার, সম্মান-মর্যাদা নিশ্চিত করার জন্য। অতএব জুলাই পববর্তী বাংলাদেশে ‘সংস্কার-বিচার ও নির্বাচন’ এই ক্রমধারা অনুসরণ করা রক্তের দায় ও অঙ্গীকার। কিন্তু অতীব দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে, সংস্কার ও বিচারকে গুরুত্ব না দিয়ে নির্বাচনকে মুখ্য করে তোলা হয়েছে, যা দেশকে পুরোনো অশুভ বন্দোবস্তে আবারও নিপতিত করবে বলে আমরা আশঙ্কা করি।
পিআরের পক্ষে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে দলের আমির বলেন, আমরা বারবার বলছি, বিগত ৫৪ বছরে যে পদ্ধতিতে নির্বাচন হয়েছে সে পদ্ধতি দেশকে ক্রমান্বয়ে পেছনের দিকে নিয়ে গেছে। দেশের বর্তমান যা কিছু উন্নয়ন তা ব্যক্তি খাতের প্রচেষ্টা ও উদ্যোগের ফল। কিন্তু রাজনৈতিক সংস্কৃতি, রাষ্ট্রের ভিত্তি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বকীয়তা ও স্বাধীনতা নষ্ট করা এবং দুর্নীতি-দুঃশাসনের মাত্রায় প্রতিটি নির্বাচনই দেশকে আগের চেয়ে খারাপ অবস্থায় ফেলেছে। এমন তিক্ত অতীতের বাস্তবতায় পুরোনো বন্দোবস্তে নির্বাচন করার কোনো অর্থ হয় না। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ তাই উভয়কক্ষে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন আয়োজনের জন্য দাবি জানিয়ে আসছে।
তিনি বলেন, পিআরের সুবিধা কি তা আমরা বারবার আলোচনা করেছি। কিন্তু অশুভ পুরোনো বন্দোবস্তের কায়েমি স্বার্থবাদের কথায় প্রভাবিত হয়ে পিআর নিয়ে সরকার যে আচরণ করছে তা দুঃখজনক। আমরা সরকারের এই আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং পিআর পদ্ধতিতে আগামী নির্বাচন আয়োজনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাচ্ছি।
যুগপৎ আন্দোলনের দাবি ও কর্মসূচি সম্পর্কে তিনি বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা ধারাবহিক কর্মসূচি পালন করব এবং ক্রমান্বয়ে কর্মসূচি কঠোর থেকে কঠোরতর হবে। এসময় দলের পক্ষ থেকে ৫ দফা দাবি জানানো হয়। এগুলো হলো- ১. জুলাই সনদের ভিত্তিতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে হবে। ২. নির্বাচন পিআর পদ্ধতিতে হতে হবে। ৩. সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে। ৪. গণহত্যার বিচার দৃশ্যমান হতে হবে। ৫. বিশেষ ট্রাইব্যুনালে ভারতীয় তাঁবেদার ও ফ্যাসিবাদের দোসর জাতীয় পার্টি এবং ১৪ দলের বিচার করতে হবে এবং বিচার চলাকালীন তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে।
দাবি আদায়ের জন্য ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এগুলো হলো- ১. ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায় সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল। ২. ১৯ সেপ্টেম্বর বিভাগীয় শহরে বিক্ষোভ। ৩. ২৬ সেপ্টেম্বর সারা দেশে জেলা/উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল।
এছাড়া, অবিলম্বে জুলাই জাতীয় সনদের ঘোষণা ও আইনী ভিত্তি দেয়া, জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনসহ ৬ দফা দাবিতে ৩ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে খেলাফত মজলিস। গতকাল পুরানা পল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কর্মসূচি ঘোষণা করে দলটির মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের।
জুলাই সনদের আইনী ভিত্তির জন্য প্রস্তাব তুলে ধরে তিনি বলেন, জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষরের পর দুই মাসের মধ্যে গণভোটের মাধ্যমে জুলাই সনদকে সাংবিধানিক ও আইনী মর্যাদা বা বৈধতা প্রদান করতে হবে। অথবা জুলাই সনদে রাষ্ট্রীয় পলিসি বা ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত বিষয়গুলো অর্ডিনেন্স বা নির্বাহী আদেশে বাস্তবায়ন করতে হবে। আর সংবিধান সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো রাষ্ট্রপতির ঘোষণা তথা সাংবিধানিক ঘোষণার মাধ্যমে আশু কার্যকর করা তবে শর্ত হচ্ছে যে, আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে কোন পরিবর্তন- পরিবর্ধন ছাড়াই সেগুলো (আনুষ্ঠানিক অনুমোদন) করতে সংসদ সদস্যগণ বাধ্য থাকবেন- এ মর্মে সকল দল ও পক্ষের কাছ থেকে লিখিত প্রতিশ্রুতি গ্রহণ করতে হবে।
দলটি আরও ৫ দাবি জানিয়েছে। এগুলো হলো
১. পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদের উচ্চ কক্ষের সদস্য নির্বাচন করা। ২. আওয়ামী ফ্যাসিবাদ ও তার দোসরদের অপরাধের বিচার দৃশ্যমান করা। ৩. আওয়ামী ফ্যাসিবাদের সব দোসরদের রাজনৈতিক কর্মকান্ড স্থগিত ও নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা। ৪. নির্বাচনে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরী করতে হবে। অবৈধ অস্ত্র, পেশী শক্তি, কালো টাকার প্রভাবমুক্ত সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।
৫. দেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গানের শিক্ষক নিয়োগের প্রজ্ঞাপন অবিলম্বে বাতিল করে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।
এসব দাবি আদায়ে খেলাফত মজলিসের পক্ষ থেকে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। এগুলো হলো : ১৮ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার ঢাকায় বিক্ষোভ মিছিল। ১৯ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দেশের সকল মহানগরীতে বিক্ষোভ মিছিল এবং ২৬ সেপ্টেম্বর জেলা/ উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল।
সূত্রগুলো বলছে, প্রথমে আট দলের মধ্যে টানা দুই দিন বৈঠক হলেও কোন কোন দাবি নিয়ে কর্মসূচিতে যাবেন সে বিষয়ে তারা সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি। একেক দল একেক ধরনের দাবি নিয়ে আসছে। কেউ সংসদের নিম্নকক্ষ ও উচ্চকক্ষ; দুই কক্ষেই পিআর চায়, আবার কোনো দল শুধু উচ্চকক্ষে পিআর চায়।
জানা গেছে, এই কর্মসূচির সঙ্গে এনসিপির একটি অংশের যুক্ত হওয়ার আগ্রহ থাকলেও বড় অংশ বিএনপির সঙ্গে থাকার পক্ষে। একই অবস্থান গণঅধিকার পরিষদেরও। তাদের একটি অংশ জামায়াতের সাথে এবং আরেক অংশ বিএনপির সাথে থাকতে চায়। সংশ্লিষ্ট একাধিক নেতা বলেন, ইসলামী দলগুলোর অধিকাংশই বিএনপির সঙ্গে যুক্ত হতে চায়। শেষ পর্যন্ত এই আন্দোলন কোথায় গিয়ে ঠেকে, তা এখনই স্পষ্ট করে বলা যাচ্ছে না।
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান জানান, ‘কোনো যুগপৎ কর্মসূচি তো দূরের কথা, এ বিষয়ে কিছুই জানা নেই। আমাদের এই মুহুর্তে সবেচেয়ে বেশী প্রয়োজন ঐক্য। ফলে ফ্যাসিবাদ বিরোধী ঐক্য বিনষ্ট হয় এমন কোন কাজ আমরা করতে চাই না। নানা ইস্যুতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা হয়েছে। এই মুহূর্তে আমাদের মূল লক্ষ্যই হচ্ছে-ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্য গড়ে তোলা।
এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব জানান, এনসিপি এখনো কোনো জোট বা যুগপৎ আন্দোলনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সংবিধানের যে দাবি- তার সঙ্গে অপরাপর রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা হয়েছে। কিন্তু পূর্ণ সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের বিষয়ে এনসিপির কোনো অবস্থান নেই। বরং এনসিপি শুধু উচ্চকক্ষে পিআর বিষয়ে একমত। এছাড়া সন্ত্রাসী ও ফ্যাসিবাদের সহযোগী হিসাবে জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিতের দাবির সঙ্গে এনসিপির সমর্থন থাকবে। এবি পার্টির দপ্তর সম্পাদক আনোয়ার সা’দাত টুটুল বলেন, যুগপতের কর্মসূচির বিষয়ে তাদের দলীয় ফোরামে এখন পর্যন্ত কোনো আলোচনা হয়নি। দলের চেয়ারম্যান ওমরাহ পালনে পরিবারসহ সৌদি আরবে রয়েছেন। তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে। এরপর কোনো আলোচনা হলে সেটি জানানো হবে।
“সুত্র: দৈনিক নিরপেক্ষ”