পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেছেন, আলহামদুলিল্লাহ, আমরা যুদ্ধবিরতির খুব কাছাকাছি আছি। এর আগে কখনো শান্তি আলোচনা এতো সন্নিকটে ছিল না। পাকিস্তান সবসময় ফিলিস্তিনের পাশে থাকবে।
এক্সে দেওয়া এক পোস্টে শাহবাজ এ কথা বলেন। তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এই সুযোগ কাজে লাগানোর আহ্বানও জানিয়েছেন।
তিনি ট্রাম্পসহ কাতার, সৌদি আরব, তুরস্ক, মিশর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জর্ডান এবং ইন্দোনেশিয়ার নেতৃত্বের প্রশংসা করেন, যারা জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের সাইডলাইনে গাজার শান্তি প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করেছেন।
তিনি বলেন, গাজায় ইসরাইলের যুদ্ধ বন্ধে এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় ট্রাম্পের ২০ দফা প্রস্তাবে হামাসের সম্মতি শান্তির দুয়ার খুলে দিয়েছে।
পাক প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, হামাসের ঘোষণায় শান্তি ও যুদ্ধবিরতির জন্য একটি সুযোগ তৈরি হয়েছে, যা হাতছাড়া করা উচিত নয়। পাকিস্তান সমস্ত ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ ও অংশীদারদের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাবে।
এর আগে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও হামাসের সম্মতিকে স্বাগত জানিয়ে বলেছে, এটি অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি, গাজার নিরীহ ফিলিস্তিনিদের রক্তপাত বন্ধ, বন্দিদের মুক্তি এবং মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর অফিস জানিয়েছে, হামাসের প্রতিক্রিয়ার পর ইসরাইল ট্রাম্পের গাজার পরিকল্পনার প্রথম ধাপ অনুযায়ী বন্দিদের মুক্তি কার্যকর করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
গাজার বাসিন্দারা দীর্ঘ যুদ্ধ শেষ হওয়ার সম্ভাবনায় আনন্দিত ও আশাবাদী হলেও ইসরাইল শনিবারও বোমাবর্ষণ চালিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় কর্মকর্তাদের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার গাজায় অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইল অন্তত ৬৬ হাজার ২৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ৬৯ হাজার ১৬৫ আহত করেছে। এছাড়া হাজারো মানুষ ধ্বংসস্তুপের নিচে আটকা পড়েছে।
সূত্র: জিও নিউজ