Home » “চৌহালীতে আত্মীয়তার বন্ধন ও রাজনীতির বিভাজন”

“চৌহালীতে আত্মীয়তার বন্ধন ও রাজনীতির বিভাজন”

0 মন্তব্য গুলি 28 জন দেখেছে 1 মিনিট পড়েছেন

হান্নান মোরশেদ (রতন)

যমুনা বিধৌত সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে  ৮০’র দশকের পর থেকে   বাইরের এলাকার মানুষ স্থায়ীভাবে এসে বসতি গড়েছে—এমন কোনো ইতিহাস নেই। পূর্বপুরুষদের বর্ণনা মতে, বহু বংশ এই অঞ্চলে বসবাস শুরু করলেও নদীভাঙনের কারণে প্রজন্মের পর প্রজন্ম চৌহালীর মানুষ এক স্থান থেকে অন্য স্থানে সরে গেছে। আমরা নিজেরাও ১৯৮১ সালে ছয় বছরের শিশু অবস্থায় পৈত্রিক ভিটা হারিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছিলাম। সেই সময় থেকেই প্রতি বছর নদীভাঙন চৌহালীকে কুরে কুরে খেয়েছে এবং বহু পরিবার নিঃস হয়ে গেছেএবং  অসংখ্য পরিবার অন্যত্র চলেও  গেছে। আবার  কেউ কেউ আর কখনো ফিরে তাকায়নিএই এলাকায়।

বর্তমানে যারা চৌহালীতে বসবাস করছেন, তারা সবাই আত্মীয়তার বন্ধনে আবদ্ধ। অথচ রাজনীতির ভিন্ন মতের কারণে এই আত্মীয়তার সম্পর্ক ভাঙতে বসেছে। রাজনীতি গণতান্ত্রিক অধিকার হলেও সেটি কখনো সম্পর্কচ্ছেদের কারণ হতে পারে না। ভিন্ন মত প্রকাশের জন্য কি আমাদের শত্রু হতে হবে?

আমরা যদি এমন একটি সার্বজনীন প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলতে পারি যেখানে প্রত্যেকে নিজের মতাদর্শ ও যুক্তি উপস্থাপন করবে, তবে সেটিই হবে সত্যিকারের গণতান্ত্রিক চর্চা। যুক্তি-তর্কের জন্য আমরা একই মঞ্চে উঠতে পারবো, প্রয়োজন নেই লাঠালাঠি বা সংঘাতের। ইতিহাস বলে—“রক্তপাতময় রাজনীতি হলো যুদ্ধ, আর রক্তপাতহীন যুদ্ধই হলো রাজনীতি।”

banner

তাহলে আমরা কোনটা চাই? যুদ্ধ নাকি শান্তিপূর্ণ রাজনীতি? এমন মন্তব্য করছেন বিশিষ্টজনেরা।

এই সম্পর্কিত আরো পোস্ট দেখতে পারেন

কমেন্ট লিখুন