Home » আড়াই বছরে শেষ হয়নি ৯০ মিটার সেতুর নির্মাণ, ক্ষোভ

আড়াই বছরে শেষ হয়নি ৯০ মিটার সেতুর নির্মাণ, ক্ষোভ

0 মন্তব্য গুলি 4 জন দেখেছে 2 মিনিট পড়েছেন

পাঁচবিবি উপজেলার শালপাড়া সড়কে ছোট যমুনা নদীর ওপর ৯০ মিটার দীর্ঘ মাকড়িতলা সেতুর নির্মাণকাজ আড়াই বছরেও শেষ হয়নি। ২০২৩ সালে সেতুটির নির্মাণকাজ শুরু হলেও এ পর্যন্ত অর্ধেক কাজও সম্পন্ন হয়নি। সেতুর নির্মাণকাজের ধীরগতিতে ক্ষোভ জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, তদারকির অভাবে ধীরগতিতে চলছে মাকড়িতলা সেতুর কাজ। নির্মাণকাজ মাঝেমধ্যেই বন্ধ থাকে। আবার কখনও দু-তিনজন শ্রমিক দিয়ে কাজ করেন ঠিকাদার। এভাবে চলতে থাকলে নির্মাণকাজ পাঁচ বছরেও শেষ হবে না। পুরোনো সেতুটি ভাঙার পর চলাচলের জন্য বিকল্প একটি কাঠের সেতু নির্মাণ করা হলেও বর্ষায় এর কয়েকটি খুঁটি ভেঙে গেছে। এতে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে মানুষ।

জানা গেছে, গ্রামীণ উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে পাঁচবিবি-শালপাড়া সড়কের বড়মানিক মাকড়িতলা নামক স্থানে একটি গার্ডার সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। ৮ কোটি ৫৭ লাখ ১১ হাজার ৭৭২ টাকা ব্যয়ের প্রকল্পটিতে যৌথভাবে কাজটি করছে আইসিএল প্রাইভেট লিমিটেড ও এমডি সোহেল নামে দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কার্যাদেশ অনুযায়ী গত ৮ জুলাই এর নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। প্রথমে বেশ জোরেশোরেই কাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

সেতুটি ভেঙে ফেলার পর মানুষের চলাচলের জন্য দক্ষিণ পাশে বিকল্প কাঠের সেতু নির্মাণ করা হয়। আড়াই বছরে মানুষ এবং মোটরসাইকেল, অটোরিকশা ও ভ্যান চলাচলের চাপে নড়বড়ে হয়ে পড়েছে বিকল্প সেতুটি। বর্ষা মৌসুমে নদীতে পানি বেশি থাকায় স্রোতের চাপে কয়েকটি খুঁটি ভেঙে যাওয়ায় সেতুটির ওপরের কাঠের পাটাতন দেবে গেছে। এ ছাড়া সেতুটি বাঁকা হয়ে গেছে। সড়ক থেকে সেতুতে নামতে গিয়ে মোটরসাইকেল ও অটোরিকশার ব্রেক ফেল করে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে।

banner

পথচারী আবুল হোসেন বলেন, কেউ কেউ বলছেন, ঠিকাদার পালিয়ে গেছেন। এভাবে কাজ চলতে থাকলে পাঁচ বছরেও সেতু নির্মাণ হবে না।’

ভ্যানচালক মানিক চন্দ্র বলেন, ‘সেতুর নির্মাণকাজ শুরুর পর বিকল্প কাঠের সেতু দিয়ে চলতে গিয়ে ভ্যানের ব্রেক ফেল করে আমার হাত ভেঙে গেছে। শুধু আমি নই, ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে প্রতিদিন এখানে দুর্ঘটনা ঘটে।’

ঠিকাদারের প্রতিনিধি জিল্লুর রহমান বলেন, ‘সেতুটির নির্মাণকাজ বন্ধ নয়, চলমান আছে। যেহেতু এটি গার্ডার সেতু, সেহেতু একটি ঢালাই শেষ করে আরেকটি ঢালাই দিতে গেলে বেশ সময় লাগে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে এর কাজ শেষ করা হবে।’

সূত্রঃ সমকাল

এই সম্পর্কিত আরো পোস্ট দেখতে পারেন

কমেন্ট লিখুন