Home » অ্যালিস ইন বর্ডার‌ল্যান্ড: কেমন হলো তৃতীয় সিজন

অ্যালিস ইন বর্ডার‌ল্যান্ড: কেমন হলো তৃতীয় সিজন

0 মন্তব্য গুলি 3 জন দেখেছে 2 মিনিট পড়েছেন

তৃণমূলের সংবাদ ডেস্ক:

করোনাকালে মুক্তি পাওয়া দুই আলোচিত ওয়েব সিরিজ— কোরিয়ান ‘স্কুইড গেম’ আর জাপানি ‘অ্যালিস ইন বর্ডারল্যান্ড’। কোনটি সেরা, তা নিয়ে দর্শকের মধ্যে এখনও বিতর্ক আছে। অনেকেই মনে করেন, কোরিয়ান ঢেউ এতটাই প্রবল ছিল যে জাপানি সিরিজটি তার ভেতরে চাপা পড়ে গেছে। সত্যিই কি তাই?

আসলে ‘অ্যালিস ইন বর্ডারল্যান্ড’ অনেকটা সেই পরিশ্রমী কর্মীর মতো, যে ভালো কাজ করলেও প্রাপ্য স্বীকৃতি পায় না। ‘স্কুইড গেম’ নিয়ে আলোড়ন যতটা ছিল, ‘অ্যালিস ইন বর্ডারল্যান্ড’ তার তুলনায় অনেকটাই নিস্তব্ধ থেকে গেছে।

তবে দীর্ঘ অপেক্ষার পর নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেল অ্যালিস ইন বর্ডারল্যান্ডের তৃতীয় মৌসুম। আগের মতো এবারও কৌতূহল জাগছে—এটি কি দর্শককে ধরে রাখতে পারবে? মনে আছে তো, ‘স্কুইড গেম’ তার শেষ মৌসুমকে দুই ভাগে ভাগ করেও প্রত্যাশিত সাড়া পায়নি। তাই এবার সবার দৃষ্টি জাপানি সিরিজটির দিকে।

banner

দ্বিতীয় মৌসুম শেষ হয়েছিল হাসপাতালে—যেখানে আরিসু (কেন্তো ইয়ামাজাকি) আর উসাগি (তাও তসুয়া) গেমের সমস্ত স্মৃতি হারিয়ে নতুন করে পরিচিত হচ্ছিল। এই দুজনই আসলে গল্পের কেন্দ্রে। ‘স্কুইড গেম’-এর মতোই ‘অ্যালিস ইন বর্ডারল্যান্ড’-এর কাহিনি ঘোরে জীবন বাজি রেখে গেম খেলার মধ্য দিয়ে। তবে পার্থক্য হলো—টোকিওর কল্পিত শহরে খেলোয়াড়রা এককভাবে জয়ী হওয়ার শর্তে আবদ্ধ নয়। বরং তারা টিকে থাকার ভিসা পায়, আর ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই পরবর্তী গেমে অংশ নিতে হয়। হারলেই মৃত্যু।

তৃতীয় মৌসুমের গল্প শুরু হয় ভিন্ন আবহে। স্বাভাবিক জীবনে ফেরা আরিসু আর উসাগি সুখী সংসার গড়ে তুলেছে। আরিসু ক্লিনিকে কাজ করছে, উসাগি খেলাধুলার সামগ্রীর দোকানে। কিন্তু ভাগ্যের মোড়ে তারা আবার বর্ডারল্যান্ডে টেনে নেওয়া হয়। এবারকার গেমে নেই আগের মতো তাসের কার্ডে ইঙ্গিত। হঠাৎ করেই নির্দেশনা আসে, খেলোয়াড়দের ভাগ করা হয় দলে দলে।

এই মৌসুমে আরিসু আর উসাগি আলাদা দলের হয়ে খেলতে বাধ্য হয়। বাস্তব জীবনের সম্পর্ক ভুলে গিয়ে তারা নতুন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামে। চূড়ান্ত গেমে এসে দুজন আবার মুখোমুখি হয়—১৬ কক্ষের এক ভয়ংকর ভবনে, যেখানে বের হতে হলে দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে হারাতে হয় আয়ুর পয়েন্ট। প্রতিটি খেলোয়াড়ের কবজিবন্ধনীতে থাকে সেই পয়েন্টের হিসাব।

মূল পার্থক্য এখানেই—‘স্কুইড গেম’ সরাসরি পুঁজিবাদের নির্মম রূপকে আঘাত করেছে, তাই তার উত্তেজনা ছিল তীব্র। অন্যদিকে ‘অ্যালিস ইন বর্ডারল্যান্ড’ মানুষের স্বার্থপরতা, সহযোগিতা আর সম্পর্কের টানাপোড়েনকে সামনে আনে। অর্থাৎ, এটি কেবল পুঁজিবাদকে আক্রমণ করে না, বরং কেন এমন কাঠামো গড়ে ওঠে—তার গভীরতর কারণ খুঁজে দেখে।

তৃতীয় মৌসুমের শেষ প্রান্তে গিয়ে দর্শক কিছুটা ‘স্কুইড গেম’-এর ফাইনালের ছায়া খুঁজে পাবেন। আর এখানেই লুকিয়ে আছে হয়তো চতুর্থ মৌসুমের আভাসও।

এই সম্পর্কিত আরো পোস্ট দেখতে পারেন

কমেন্ট লিখুন