Home » সিরাজগঞ্জে সাড়ে ৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ব্রীজ নির্মানের কাজ ব্যাহত

সিরাজগঞ্জে সাড়ে ৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ব্রীজ নির্মানের কাজ ব্যাহত

ভূমি অধিগ্রহন না করায়

0 মন্তব্য গুলি 12 জন দেখেছে 1 মিনিট পড়েছেন

বিশেষ প্রতিবেদকঃ
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় ভূমি অধিগ্রহন না করায় ফুলজোড় নদীর উপর প্রায় সাড়ে ৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ব্রীজ নির্মান কাজ ব্যহত হচ্ছে। এতে ব্রিজ নির্মাণের কাজ যথাসময়ে শেষ না হওয়ার আশংকা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের (এলজিইডি) তত্বাবধানে ওই উপজেলার নওদাশালুয়া হতে সাহেবগঞ্জ বাজার পর্যন্ত ৭১০০ মিটার চেইনেজ ফুলজোড় নদীর উপর ৩০০.৪০ মিটার নির্মানের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় উল্লেখিত টাকা বরাদ্দ দেয়। সরকারি বিধিমতে এ কাজ বাস্তবায়নে এলজিইডি বিভাগ দরপত্র আহবান করে। এ দরপত্রে নির্বাচিত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে ২০২৪ সালে জুন মাসে এ ব্রিজ নির্মাণের কাজ শুরু করে এবং নদীর পশ্চিমপাড় ব্রিজ সম্মুখে একটি বসতবাড়ি থাকায় এ ব্রিজ নির্মান কাজ প্রায় ৬ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতার কারণে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। অবশ্য এ ব্রিজের ৩টি পিলার স্থাপনের কাজ এখনও চলমান রয়েছে। ওই বসতবাড়ির মালিক আমির হোসেন ১৯৯১ সাল থেকে ১ নং খাস খতিয়ান ভুক্ত ওই বাড়িতে বসবাস করছেন। এ বিষয়ে ইতিমধ্যেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রশাসনিক অনুমোদন ও নির্দেশক্রমে এ বাড়ি উচ্ছেদের জন্য এলজিইডি’র মন্ত্রণালয় বরাবর একটি আবেদন করেন। এলজিইডি মন্ত্রনালয় সরকার বিভাগ, উন্নয়ন-২ শাখার উপসচিব মোহাম্মদ শামীম ব্যাপারী গত জুলাই মাসে এক স্মারকে ভূমি অধিগ্রহণের জন্য নির্বাহী প্রকৌশলী (এলজিইডি) সিরাজগঞ্জ বরাবর একটি আদেশ প্রদান পূর্বক পত্র প্রেরণ করেছেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এলজিইডি জেলা প্রশাসক বরাবর ওই উপজেলার চর ফরিদপুর মৌজার ও দাদপুর মৌজার ১.৬৭৮ একর ভূমি অধিগ্রহনের জন্য পত্র প্রেরণ করেন। আজও ওই বাড়িসহ ভূমিঅধিগ্রহণ না করায় ব্রিজের নির্মান কাজ যথাসময়ে শেষ না হওয়ার আশংকা করছে এলজিইডি বিভাগ। এ বিষয়ে এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজগঞ্জ মোঃ রেজাউর রহমান জানান, ওই নদীর উপর ব্রিজ নির্মাণের বিষয়ে বসতবাড়ি ও ভূমি অধিগ্রহণের জন্য ইতিমধ্যেই সব ধরণের  ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ভূমি অধিগ্রহণের কার্যক্রম শীঘ্রই শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে এবং এ কার্যক্রম শুরু হলেই যথাসময়ে এ ব্রিজ নির্মাণের কাজ বাস্তবায়ন হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। প্রতিবেদকঃ এস,এম তফিজ উদ্দিন, স্টাফ রিপোর্টার দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ।

এই সম্পর্কিত আরো পোস্ট দেখতে পারেন

কমেন্ট লিখুন