Home » সিরাজগঞ্জে সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের খোয়া ব্যবহার, অবশেষে অপসারণ

সিরাজগঞ্জে সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের খোয়া ব্যবহার, অবশেষে অপসারণ

সাড়ে ১৯ কোটি টাকা ব্যয়ে

0 মন্তব্য গুলি 5 জন দেখেছে 1 মিনিট পড়েছেন

বিশেষ প্রতিবেদকঃ
সিরাজগঞ্জে এলজিইডির তত্বাবধানে প্রায় সাড়ে ১৯ কোটি টাকা ব্যয়ে তাড়াশ উপজেলা হেডকোয়ার্টার-কাটাগাড়ী পাকা সড়ক নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়েছে। এ সড়ক নির্মাণ প্রকল্প কাজে নিম্নমানের খোয়া ও বালু ব্যবহার করা হচ্ছে। এ নিয়ে জনমনে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সরকার জনস্বার্থে ওই প্রকল্প বাস্তবায়নে ১৯ কোটি ৩৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। সিরাজগঞ্জ নির্বাহী প্রকৌশলী এলজিইডি বিভাগ নির্ধারিত সময়ে দরপত্র আহবান করে। সরকারি বিধিমতে এ দরপত্রে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম থেকে এ প্রকল্পের কাজ শুরু করে। এ কাজ শুরু থেকেই নিম্নমানের খোয়া ও বালুর সঙ্গে মিশিয়ে অধিকাংশ সড়কের ২ পাশের বাড়তি অনেক অংশেই কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে এবং ওই নির্মাণাধীন সড়কের বিভিন্ন স্থানে নিম্নমানের খোয়া ও বালু স্তুপ করে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে এলাকার অনেকেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন এবং বিষয়টি এলজিইডি বিভাগকে অবহিত করা হয়। স্থানীয়রা বলছেন, এ সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের খোয়া ও বালু ব্যবহার ক্ষেত্রে প্রতিবাদ করেও কাজ হচ্ছে না। স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় এমন নিম্নমানের কাজ হচ্ছে। তারা আরো বলছেন, তাড়াশ উপজেলা হেডকোয়ার্টার-কাটাগাড়ী সড়কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য এ প্রকল্প নির্মাণে সিডিউলমতে বাস্তবায়ন হলে জনস্বার্থে কাজে লাগবে। তাড়াশ উপজেলা প্রকৌশলী ফজলুল হক এ বিষয়ে বলেন, ইতিমধ্যেই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দেয়া হয়েছে এবং প্রয়োজনে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সিরাজগঞ্জ নির্বাহী প্রকৌশলী রেজাউর রহমান বলেন, ওই প্রকল্পে নিম্নমানেরখোয়া ও বালু ব্যবহারের বিষয়টি জেনেছি। একটি টিম ওই প্রকল্প কাজের স্থানে প্রেরণ করা হয়েছিল। এ টিম নিম্নমানের খোয়া ও বালু অপসারণ করেছে এবং বর্তমানে ওই প্রকল্পের কাজে কঠোর নজর রাখা হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

এই সম্পর্কিত আরো পোস্ট দেখতে পারেন

কমেন্ট লিখুন