চৌহালী (সিরাজগঞ্জ) সংবাদদাতাঃ
বিগত ১৫ বছর পূর্বে সিরাজগঞ্জ জেলাধীন চৌহালী উপজেলা সদর থেকে দক্ষিণে পাথরাইল সীমানা র্পযন্ত মানুষের যাতায়াতের জন্য একটি পাকা সড়ক ছিল। যা তৎকালীন ৬৬ সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য বিএনপি সরকারের সময়ে নির্মিত হয়েছিল, কিন্তু পরর্বতী ১৭ বছর আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নদী শাসন ও তীর রক্ষা প্রকল্পে ব্যাপক লুটপাট এবং অপরকিল্পতিভাবে জিও ব্যাগ ফেলার কারণে যমুনা নদীর ভাঙন ঠেকানো সম্ভব হয়নি। ফলস্বরূপ হাজার হাজার বসতভিটা, হাটবাজার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও সড়কপথ নদীর্গভে বিলীন হয়ে যায়। এতে দক্ষিণাঞ্চলের সাথে উপজেলা সদরের যোগাযোগ সর্ম্পূণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
যমুনার ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থ চৌহালী উপজেলার উমারপুর ও বাঘুটিয়া ইউনিয়নের বহু মানুষ বাধ্য হয়ে যমুনার র্পূব পাড়ে টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর উপজেলার সলিমাবাদ মৌজায় উচ্চমূল্যে জমি কিনে নতুনভাবে বসতবাড়ি গড়ে তুলেছে। তবে এই এলাকার মানুষের প্রতিদিনের যাতায়াত আজও সীমাহীন দুর্ভোগে পরিণত হয়েছে। সলিমাবাদ ব্রিজের পশ্চিমে শিকদার মার্কেট থেকে বাঘটিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র পর্য ন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তার এখন বেহাল দশা। র্দীঘ ১৭ বছরে এই রাস্তাটি সংস্কারের কোনো র্কাযকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ফলে বর্ষা মৌসুম তো বটেই, শুকনো মৌসুমেও এ পথে চলাচল অত্যন্ত কষ্টসাধ্য।
বর্তমানে বর্ষার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এলাকার সাধারণ মানুষ প্রতিদিনিই ছোট ছোট নৌকায় যাতায়াত করছে। এতে যাতায়াত ও মালামাল পরিবহনের জন্য তাদের বাড়তি অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে। জীবনের ঝুকি নিয়ে চলাফেরা করা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই।
এলাকাবাসীর দাবী অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার যেন দ্রুততম সময়ে রাস্তাটি সংস্কার করে চলাচল উপযোগী করে দেয়। একই সঙ্গে তারা স্থায়ী নদী শাসন র্কাযক্রম গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন, যাতে ভবিষ্যতে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ আর ভাঙনে নিঃস্ব না হয়।