সরকার ও বিচারকদের ‘অন্ধকারে’ না রাখতে আইনজীবীদের প্রতি অনুরোধ করেছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেছেন, “আমরা আশা করি, এক্সপেক্ট করি, লইয়ার একটা ফ্যাক্ট ফিগার প্রকাশ করবে অথবা ডিফেন্ড করবে। কিন্তু একেবারে (যদি) জজ সাহেবকে আড়ালে রাখেন বা অন্ধকারে রাখেন তাহলে তো ডিফিকাল্ট।
“আপনারা লইয়ার, সরকারকে একটু অন্ধকারে রাইখেন না। আপনারা একটু সহায়তা করেন।”
রোববার রাজধানীর আগারগাঁও রাজস্ব ভবনে ‘কর প্রতিনিধি ব্যবস্থাপনা সিস্টেম (টিআরএমএস)’ সফটওয়্যার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে কর প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত আইনজীবীদের উদ্দেশে তিনি এ কথা বলেন।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ট্যাক্স লইয়ারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রমিজ উদ্দিন আহমেদ, ইন্সটিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ এর প্রেসিডেন্ট মাহতাব উদ্দিন, ইন্সটিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ এর ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. রোকনুজ্জামান এবং ইন্সটিটিউট অব চার্টার্ড সেক্রেটারিজ অব বাংলাদেশ এর প্রেসিডেন্ট এম নাসিমূল হাই উপস্থিত ছিলেন।
উপদেষ্টা আইনজীবীদের বলেন, “আপনারা যদি ক্লায়েন্টকে বলেন আজকে আসো, কালকে আসো, পরশু আসো- এটা তো তার একটা হয়রানি হবে, তাই না? হ্যাঁ, যথাসময় যখন এসেই পড়বে, এই ইনসাফের আপনাদের কাছে অনুরোধ রইল। কারণ এটা ভেরি ইম্পর্টেন্ট।
“আমি একটা গল্প বলি একজন লইয়ার সম্পর্কে। আমরা যখন সিভিল সার্ভিস ট্রেনিং করি একাডেমিতে, তখন গভর্মেন ল কলেজে একজন এক্সিলেন্ট, বেস্ট লইয়ার ছিলেন। তিনি মিনিস্টার হয়েছেন। উনি গল্প করলেন, দেখ তোমরা তো ম্যাজিস্ট্রেসি করবে, তোমাদের জন্য একটু ডিফিকাল্ট হবে।
“দুই পক্ষের লইয়ার আসবে আসামি পক্ষের আর বাদি-বিবাদী। তোমাদের জন্য ডিফিকাল্ট হবে সত্যতা বের করা। বাদী পক্ষে সেও মিথ্যা কথা বলবে বিবাদী পক্ষে সেও মিথ্যা কথা বলবে বা তথ্য গোপন রাখবে। কারণ তোমরা ম্যাজিস্ট্রেট, জাজেস।”
সে কারণে বিচারককে ‘অন্ধকারে’ না রাখতে আইনজীবীদের প্রতি অনুরোধ করেন সালেহউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, “আমরা বলছি না আপনারা একেবারে টাকা পয়সা না নিয়ে সব করে দেবেন, সেটা সম্ভব না। আপনাদের চার্জ করতে হবে। চার্জ করতে পারবেন। যদি বেশি ভালো করে সার্ভিস দেন, কেউ মানা করবে না।”
নির্বাচন হলেই যে অন্তর্বর্তী সরকারকে চলে যেতে হবে, সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে অর্থ উপদেষ্টা এনবিআর চেয়ারম্যানকে বলেন, “আমি আশা করি, আমি একটু জিজ্ঞেস করি চেয়ারম্যান সাহেবকে, আমরা কি এর (টিআরএমএস সফটওয়্যার) সুফলটা দেখতে পাব? কারণ আমাদের ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে চলে যেতে হব। এর আগে কিছু দেখে যাব কিনা “
অনুমোদিত কর প্রতিনিধিদের মাধ্যমে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল সহজ ও নির্বিঘ্ন করার লক্ষ্যে এনবিআরের আয়কর কর্মকর্তা এবং আইটি প্রোগ্রামাররা টিআরএমএস সফটওয়্যার তৈরি করেছেন।
এনবিআর বলছে, করদাতার প্রতিনিধিত্ব প্রক্রিয়া ডিজিটালাইজ করার মাধ্যমে টিআরএমএস প্ল্যাটফর্মটি কর ব্যবস্থাপনায় ‘অধিকতর দক্ষতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে’ সক্ষম হবে।
“সুত্র: বিডিনিউজ24.কম