ইসলামী ঐক্য আন্দোলন ভোলা জেলার সেক্রেটারি মাওলানা আমিনুল ইসলাম নোমানীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
ভোলা সদর মডেল থানার ওসি আবু শাহাদাৎ হাচনাইন পারভেজ বলেন, “বাপ্তা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর-পশ্চিম বাপ্তা এলাকার বাসায় তাকে শনিবার রাতে হত্যা করা হয়। এ সময় পরিবারের কেউ বাসায় ছিলেন না।”
মাওলানা নোমানী (৪৫) সদর উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদের খতিব এবং ভোলা দারুল হাদিস কামিল মাদ্রাসার মোহাদ্দিস ছিলেন। মৃত মো. এনামুল হকের ছেলে নোমানী স্ত্রী ও তিন সন্তানকে রেখে গেছেন।
পুলিশ জানায়, মাওলানা নোমানীর স্ত্রী তিন সন্তানকে নিয়ে তজুমদ্দিন উপজেলায় শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। শনিবার রাতে এশার নামাজ শেষে বাসায় ছিলেন তিনি। তখন হামলাকারীরা তাকে কুপিয়ে হত্যা করে।
স্থানীয়রা তাকে ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ভোলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক শেখ সুফিয়ান রুস্তম বলেন, মুমূর্ষু অবস্থায় জরুরি বিভাগে আনার কয়েক মিনিটের মধ্যেই তিনি মারা যান। তাকে চিকিৎসা দেওয়ার সময় পাওয়া যায়নি।
নোমানীর মৃত্যুর খবরে ইসলামী দলগুলোর নেতাকর্মীরা রাতেই হাসপাতালের সামনে জড়ো হয়ে ঝটিকা মিছিল করেন। সেখানে বিএনপি, হেফাজতে ইসলাম, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন, জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
দুপুরে ভোলা সরকারি স্কুল মাঠে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। জানাজার আগে ‘ভোলা জেলার সর্বস্তরের তৌহিদী জনতা’ সংগঠনের আহ্বায়ক এবং ভোলা দারুল হাদিস কামিল মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মাওলানা মো. মোবাশ্বিরুল হক নাঈম এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
এ সময় তিনি সোমবার ভোলার সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দেন।
একই দিন বেলা ১১টায় ভোলা হাটখোলা মসজিদ চত্বরে বিক্ষোভ-সমাবেশ, পরে শোক র্যালি এবং জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হবে।
মোবাশ্বিরুল হক নাঈম বলেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রশাসনের কার্যকরী পদক্ষেপ দৃশ্যমান না হলে পরবর্তীতে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।