নওগাঁর মান্দা উপজেলায় চিকিৎসার নামে ষষ্ঠ শ্রেণির দুই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে কথিত ‘কবিরাজ’ সাভার আলির বিরুদ্ধে। গত বৃহস্পতিবার ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর বিক্ষুব্ধ জনতা কবিরাজের চেম্বারে ভাঙচুর চালায় এবং তাকে ধরে রাখে। পরে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে।
জানা যায়, স্কুলে যাওয়ার পথে দুই ছাত্রীর মধ্যে একজনের হঠাৎ পেটে ব্যথা অনুভব করলে তারা দুজন চিকিৎসার জন্য কথিত কবিরাজ সাভার আলির শরণাপন্ন হয়। এই সুযোগে, ধূর্ত কবিরাজ চিকিৎসার ছল করে এক ছাত্রীকে চেম্বারের বিছানায় নিয়ে ধর্ষণ করেন। এরপর তিনি একই কৌশলে তার সহপাঠী আরেক ছাত্রীকেও ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের শিকার দুই ছাত্রী প্রথমে ভয় ও লোকলজ্জার কারণে ঘটনাটি গোপন রাখে। এক সপ্তাহ পর, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে তারা পরিবারকে সব খুলে বলে। খবরটি এলাকায় মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়লে তীব্র জনরোষ সৃষ্টি হয়। ক্ষুব্ধ জনতা সঙ্গে সঙ্গে কবিরাজের চেম্বারে ভাঙচুর চালায় এবং ধর্ষক সাভার আলিকে ধরে রাখে।
মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনসুর রহমান জানান, ধর্ষণের শিকার দুই ছাত্রীর অভিভাবক অভিযুক্ত সাভার আলির বিরুদ্ধে দুটি ভিন্ন মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে এবং আইনি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।