তৃণমূলের সংবাদ ডেস্ক
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, “তরুণ এবং বৃদ্ধ, এই দুই জেনারেশনের মধ্যে যদি সমন্বয় ঘটানো না যায়, তাহলে আমরা সার্ভাইব করতে পারবো না। যে জাতি তার পূর্বপুরুষদেরকে সম্মান করে না, সে জাতি টিকে থাকতে পারে না।”
বুধবার (১ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবে আজহার শফিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, ১৯৯০ সালে জাতিসংঘের সাধারণ অ্যাসেম্বলিতে ১ অক্টোবরকে জাতীয় প্রবীণ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একটা সময় বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু ছিল মাত্র ৪৭ বছর। তবে এখন সচেতনতা বৃদ্ধি পাওয়ায় তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৩ বছরে। “কিন্তু আজও নির্দিষ্ট বয়সের পর সরকারি কর্মকর্তাদের বলা হয়— আপনাদের আর প্রয়োজন নেই। অথচ দেশের প্রধান উপদেষ্টার বয়স কত? আমরা যখন কাউকে বলে দিই আপনার আর প্রয়োজন নেই, তখন তার মনোজগতে কী প্রভাব পড়ে, সেটা একবারও ভেবে দেখি না।”
তিনি আরও বলেন, “ঢাকা মেডিকেলে যাওয়ার পর একজন সত্তর বছরের মানুষকেও লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কাটতে হয়। অথচ স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশে বলা হয়, তুমি সিনিয়র পার্সন, তোমার টিকিট কাটার দরকার নেই। আমাদের দেশে এই প্র্যাকটিস নেই।”
ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, “আজকের তরুণরাও একদিন বৃদ্ধ হবেন। আজ যারা তরুণ উপদেষ্টা রয়েছেন, তাদের ভাষা ও শক্তি কালকের দিনে নাও থাকতে পারে। তাই তরুণ ও প্রবীণ প্রজন্মের মধ্যে সমন্বয় জরুরি।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের ভাবতে হবে সমাজটা সবার। সমাজের প্রবীণ মানুষদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। সামান্য বাজেট রাখা কঠিন কোনো বিষয় নয়। প্রবীণরা যেন সমাজের বোঝা না হয়, তারা যেন সম্মানের সঙ্গে সমাজে বসবাস করতে পারে— সে দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে।”
নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা চাই সেটা হোক। জনগণ দীর্ঘদিন ধরে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারেনি। নির্বাচনের মাধ্যমে সেই সুযোগ আসুক।”
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন— গণফোরামের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, বাংলাদেশ জাসদের সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ফর বাংলাদেশ মোহাম্মদ মশিহুর রহমান, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, আজহার শফিক ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।