Home » যমুনার ভাঙ্গনে অর্ধশত ঘরবাড়ি বিলীন হুমকির মুখে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

যমুনার ভাঙ্গনে অর্ধশত ঘরবাড়ি বিলীন হুমকির মুখে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

তত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন

0 মন্তব্য গুলি 4 জন দেখেছে 1 মিনিট পড়েছেন

বিশেষ প্রতিবেদকঃ
সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার যমুনা নদীর কয়েকটি ¯স্থানে  তীব্র ভাঙ্গন শুরু
হয়েছে। স্রোত ও ঘূর্ণাবর্তের এ ভাঙ্গনে প্রায় অর্ধশত ঘরবাড়ি, গাছপালাসহ
জায়গা জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। যমুনা নদীর পানি কমতে থাকায় এ ভানের
তীব্রতা বাড়ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, পাহাড়ি ঢলে ও প্রবল বর্ষণে প্রায়
দেড় সপ্তাহ ধরে যমুনা নদীর পানি বাড়ছিল। এতে নিম্নাঞ্চলের  পাটসহ বিভিন্ন
ফসলও বিনষ্ট হয়েছে। সোমবার মধ্যরাত থেকে যমুনা নদীতে পানি কমতে শুরু
করেছে এবং রোববার বিকেল থেকে ওই উপজেলার চাঁদপুরসহ কয়েকটি স্থানে  এ
ভাঙ্গন শুরু হয়। এছাড়া গবাদি পশু, ঘরবাড়ির টিনের চাল নদী গর্ভে চলে যাওয়ায়
এলাকা জুড়ে ভাঙন আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে চাঁদপুরে এ ভাঙ্গনে বেশি ক্ষয়ক্ষতি
হয়েছে এবং ভাঙ্গনের মুখ থেকে অনেক পরিবার অনত্রও আশ্রয় নি”েছন। এ ভাঙন
অব্যাহত থাকলে আরো বাড়িঘরসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হুমকির মুখ রয়েছে।
স্নীথানীয়রা জানান, হঠাৎ করে যমুনা নদীতে এ তীব্র ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। এ ভাঙ্গনে
ব্যাপক ক্ষতিগ্র¯’ হয়েছে চাঁদপুরসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম। দ্রুতস্থায়ী  তীর
সংরক্ষনে জিও ব্যাগ ডাম্পিং না করলে পরিস্থিতি  আরো ভয়াবহ হতে পারে। এ
বিষয়ে চৌহালী উপজেলা নির্বাহি অফিসার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন,
এমন তীব্র ভাঙ্গনের বিষয়টি স্থানীয়  পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী
প্রকৌশলীকে অবহিত করা হয়েছে।স্থানীয়  পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী
প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান বলেন, যমুনার পানি ইতিমধ্যেই কমতে শুরু করেছে।
এতে যমুনায় স্রোত  ও ঘূর্ণাবর্তের কারণে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে
তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (বগুড়া) আরিফুল ইসলাম চৌহালী চাঁদপুরের ভাঙ্গন এলাকা
পরিদর্শন করেছেন এবং তিনি ভাঙ্গন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা  নেয়ার
নির্দেশনাও দিয়েছেন। ২/১ দিনের মধ্যেই ওই ভাঙ্গন প্রতিরোধে কাজ শুরু করা হবে
বলে তিনি উল্লেখ করেন।

এই সম্পর্কিত আরো পোস্ট দেখতে পারেন

কমেন্ট লিখুন