Home » ডাকসু, জাকসু ও রাকসুতে শক্ত অবস্থানে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা

ডাকসু, জাকসু ও রাকসুতে শক্ত অবস্থানে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন

0 মন্তব্য গুলি 4 জন দেখেছে 6 মিনিট পড়েছেন

দীর্ঘদিন পর আবারো ছাত্র সংসদ নির্বাচন হতে যাচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। এগুলোর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচন ৯ সেপ্টেম্বর।

দীর্ঘদিন পর আবারো ছাত্র সংসদ নির্বাচন হতে যাচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। এগুলোর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচন ৯ সেপ্টেম্বর। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (জাকসু) নির্বাচন ১১ সেপ্টেম্বর, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) নির্বাচন ২৫ সেপ্টেম্বর এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (চাকসু) নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে ১২ অক্টোবর।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ঢাবি ও জাবিতে বর্তমানে চলছে শেষ সময়ের প্রচারণা, রাবিতে মনোনয়নপত্র গ্রহণ শেষ হয়েছে। আর চবিতে এখনো মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু হয়নি। এর আগে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্যানেলভুক্ত প্রার্থীদের বেশি জনসমর্থন দেখা গেলেও এবারে অনেকটা ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে। শিক্ষার্থীরা বলছেন, তারা এবার প্রার্থীদের দলীয় অবস্থানের চেয়ে ব্যক্তিগত যোগ্যতা, কর্মকাণ্ড এবং জুলাই অভ্যুত্থানের ভূমিকাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন। এছাড়া অতীতে লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতির তিক্ত অভিজ্ঞতার কারণে এবারের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বাড়তি জনসমর্থন পাবেন বলেও মনে করছেন অনেক শিক্ষার্থী।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) নির্বাচন হতে যাচ্ছে ৩৫ বছর পর। সর্বশেষ ১৯৮৯ সালে রাকসু নির্বাচন হয়েছিল। ওই নির্বাচনে ভিপি পদে জয়ী হয়েছিলেন তৎকালীন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রার্থী রুহুল কবির রিজভী আহম্মদ এবং জিএস পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন জাসদ ছাত্রলীগের রুহুল কুদ্দুস বাবু।

রাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এবারো প্রার্থী ও ছাত্র সংগঠনগুলো প্যানেল গোছাতে ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন। রাকসু নির্বাচন কমিশনের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, এবার মোট ৩৯৫টি মনোনয়নপত্র বিতরণ হয়েছে। এর মধ্যে প্যানেলভিত্তিক বিতরণ হয়েছে ২১৪টি এবং নির্দিষ্ট পদ উল্লেখ অনুযায়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে বিতরণ হয়েছে ১৮১টি মনোনয়নপত্র। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ভিপি, জিএস, এজিএসসহ রাকসুর সবক’টি পদেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এসব প্রার্থীর মধ্যে বেশ কয়েকজন এরই মধ্যে আলোচিত হয়ে উঠেছেন।

banner

তাদেরই একজন ভিপি পদের স্বতন্ত্র প্রার্থী তাসিন খান। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। রাকসু প্রতিষ্ঠার ৬৩ বছরের ইতিহাসে প্রথম নারী শিক্ষার্থী হিসেবে ভিপি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে যাচ্ছেন তিনি।

তাসিন খান বণিক বার্তাকে বলেন, ‘যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে রাকসুর আমেজ ছড়িয়ে পড়তে থাকে তখন খেয়াল করলাম এখানে শুধু রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনগুলোর অংশগ্রহণই স্বতঃস্ফূর্ত। রাকসুকে একটি রাজনৈতিক প্লাটফর্ম ভেবে আমরাই তাদের জন্য ফাঁকা মাঠ ছেড়ে দিচ্ছি। আমাদের মতো সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য এখানে মানুষের সংকট রয়েছে। এ বিষয়টি চিন্তা করেই নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেই। আমি বিজয়ী হলে সব শিক্ষার্থী ভাই-বোনদের জন্য কাজ করব।’

লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতির বাইরে গিয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করতে চান বলে জানিয়েছেন রাকসুর স্বতন্ত্র প্যানেল থেকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে মনোনয়নপত্র নেয়া ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সজিবুর রহমান। তিনি বণিক বার্তাকে বলেন, ‘যেকোনো যৌক্তিক বিষয়ে আমি একা হলেও দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। ভয়েস রেইজ করার চেষ্টা করছি। সাধারণ শিক্ষার্থীদের শক্তি নিয়ে, সাহস নিয়ে লেজুড়বৃত্তিক দল-গোষ্ঠীর বাইরে গিয়ে মনোনয়নপত্র নিয়েছি। আমি শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করতে চাই।’

শিক্ষার্থীরাও বলছেন এবারের নির্বাচনে দলীয় রাজনীতির বাইরে থেকেও এমন প্রতিনিধি নির্বাচিত হতে দেখতে চান, যারা শিক্ষার্থীদের প্রকৃত প্রতিনিধিত্ব করবেন। সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী বুশরা আলম বলেন, ‘আমরা চাই এমন প্রতিনিধিত্ব, যারা শিক্ষার্থীদের স্বার্থকে প্রাধান্য দেবে। রাজনৈতিক দলগুলোর প্রভাব থাকলে প্রকৃত সমস্যাগুলো আড়ালে থেকে যায়।’

একই বিষয় উল্লেখ করে ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, ‘দলীয় রাজনীতি ক্যাম্পাসে বিভাজন সৃষ্টি করে। আমাদের প্রয়োজন একতা ও শিক্ষার্থীদের সার্বিক উন্নয়ন, যা কেবল স্বতন্ত্র প্রতিনিধিরাই নিশ্চিত করতে পারবেন।’

ছয় বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন। সর্বশেষ ডাকসুর কেন্দ্রীয় সংসদে ভিপি এবং সমাজসেবা সম্পাদক পদে জয়ী হয়েছিল ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের প্রার্থী নুরুল হক নুর ও আখতার হোসেন। আর বাকি ২৩ পদে নির্বাচিত হয়েছিল বর্তমানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের প্রার্থীরা। আর হল সংসদের ১২টিতে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ এবং ছয়টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়লাভ করেছিল। তবে জুলাই অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে ঢাবির রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বড় পরিবর্তন এসেছে। যার প্রভাব দেখা গেছে ডাকসু নির্বাচনেও। এবারের ডাকসু নির্বাচনে রাজনৈতিক প্যানেলের পাশাপাশি স্বতন্ত্র প্রার্থীদের উপস্থিতি ও সক্রিয়তা শিক্ষার্থীদের মধ্যে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। প্রচারণার মাঠে একক প্রচেষ্টা, সৃজনশীল পোস্টার, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যক্তিগত ভাবমূর্তিকে কাজে লাগানো এবং শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগাযোগের মাধ্যমে তারা শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করছে।

শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ বলছেন, রাজনৈতিক প্যানেলভিত্তিক প্রার্থীদের প্রতি আস্থাহীনতার কারণেই অনেকে বিকল্প হিসেবে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের দিকে ঝুঁকছেন। হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের শিক্ষার্থী রায়হান বলেন, ‘বিগত বছরগুলোয় দলীয় রাজনীতির ছায়াতলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় শিক্ষার্থীদের ওপর যে নিপীড়ন চালানো হয়েছে, তাতে শিক্ষার্থীরা এখন স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রতি বেশি ঝুঁকছে।

কবি সুফিয়া কামাল হলের শিক্ষার্থী রুবাইয়া জান্নাত বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে কারণ এখানে দলীয় স্বার্থের চেয়ে ব্যক্তিগত যোগ্যতা ও শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা প্রাধান্য পাচ্ছে। রাজনৈতিক প্যানেলের প্রার্থীরা অনেক সময় দলীয় নির্দেশনায় কাজ করে, কিন্তু স্বতন্ত্ররা সরাসরি শিক্ষার্থীদের সমস্যার কথা তুলে ধরছে। এজন্যই তাদের প্রতি আস্থা তৈরি হচ্ছে।’

সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থী নওরীন বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের ব্যানারে যারা আসে, তারা অনেক সময় নিজেদের দলীয় স্বার্থে কাজ করে। অথচ একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী কেবল শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করার প্রতিশ্রুতিই দেন। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে নতুনত্ব আছে। তারা প্রচারে হাস্যরস, সংস্কৃতি আর ব্যক্তিগত পরিচিতি কাজে লাগাচ্ছেন। এতে ভোটারদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হচ্ছে।’

স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেলের জিএস পদপ্রার্থী আল সাদী ভূঁইয়া বলেন, ‘রাজনৈতিক প্যানেলগুলো মূলত নিজেদের রাজনীতি টিকিয়ে রাখতেই ব্যস্ত। শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের যে প্লাটফর্ম ডাকসু, সেটিকে তারা প্রকৃত অর্থে প্লাটফর্ম হিসেবেই দেখছে না। বরং এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তারা ভবিষ্যৎ জাতীয় রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তারের সুযোগ খুঁজছে এবং শিক্ষার্থীদের জনসমর্থনকে ব্যবহার করার চিন্তাভাবনায় লিপ্ত। কিন্তু আমরা স্বতন্ত্র প্যানেল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি শিক্ষার্থীদের স্বার্থ রক্ষার জন্য। কাউকে ক্ষমতায় বসানোর হাতিয়ার হিসেবে শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করতে দেব না। শিক্ষার্থীরা নিজেরাই তাদের প্রতিনিধি ঠিক করবে কোনো দলীয় নেতা নয়।’

৩৩ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জাকসু নির্বাচনেও এবার আলোচনায় রয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এবারের নির্বাচনে লড়ছেন ১৭৯ প্রার্থী। প্যানেলের বাইরে স্বতন্ত্র হিসেবে লড়ছেন ৪৮ জন প্রার্থী। নির্বাচনী মাঠে শক্ত অবস্থান নিয়ে দেখছেন জয়ের আশা।

এরই মধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও নির্দলীয় শিক্ষার্থীরা চারটি পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ও চারটি আংশিক প্যানেল ঘোষণা করেছে। পূর্ণাঙ্গ প্যানেলে ২৫ জন করে প্রার্থী থাকেন। পূর্ণাঙ্গ প্যানেলগুলো হলো জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল, ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল সম্মিলিত শিক্ষার্থী ঐক্য, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ সমর্থিত শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরাম, ছাত্র ইউনিয়ন একাংশ ও সাংস্কৃতিক জোটের একাংশ সমর্থিত সম্প্রীতির ঐক্য প্যানেল। তবে ছাত্রদল ও ছাত্র সংসদ সমর্থিত প্যানেল ক্রীড়া সম্পাদক পদে প্রার্থী দেয়া হয়নি। আংশিক প্যানেলগুলোর মধ্যে রয়েছে ছাত্র ইউনিয়নের আংশিক নেতৃত্বে সংশপ্তক প্যানেলে পাঁচজন, স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক সমন্বয়ক জিতুর নেতৃত্বে স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী সম্মিলন ১৮ জন, সাংস্কৃতিক জোটের একাংশের নেতৃত্বে স্বতন্ত্র অঙ্গীকার পরিষদ থেকে সাতজন ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সাবেক সংগঠক সজিব আহমদ জেনিচের নেতৃত্বে তিনজন। আংশিক প্যানেলগুলো থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ৩৩ প্রার্থী। সে হিসেবে প্রকৃত স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন ৪৮ জন।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পূর্ববর্তী রাজনৈতিক সংস্কৃতির কারণে ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময় শিক্ষার্থীরা দলীয় রাজনীতিবিমুখ হতে শুরু করেছে। ছাত্র সংসদকে শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের মূল প্লাটফর্ম হিসেবে দেখার আশা অনেকের। অনেক ক্ষেত্রে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের এগিয়ে রাখছেন তারা। একাধিক পদ জয়ের সম্ভাবনাও দেখছেন কেউ কেউ। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা অনেকের জন্য বড় ফ্যাক্টর হয় দাঁড়াতে পারেন। এদিকে প্যানেল থাকলেও স্বতন্ত্র দাবি করে ভোট চাচ্ছেন কেউ কেউ। এ নিয়ে দেখা দিয়েছে বিতর্ক।

প্যানেল থাকলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভালো অবস্থানে আছেন ভিপি প্রার্থী আব্দুর রশিদ জিতু। তিনি বলেন, ‘আমরা কিছু স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী একসঙ্গে হয়েছি নির্বাচনী কারণে। শিক্ষার্থীরা তাদের অধিকার রক্ষায় সবসময় আমাদের পেয়েছে। আমরা ভালো সাড়া পাচ্ছি। জয়ের ব্যাপারেও আশাবাদী।

প্যানেলের বাইরে কার্যকরী সদস্য পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী আরাফাত হোসেন বলেন, ‘স্বল্প সময় হলেও শিক্ষার্থীদের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। আমি দল-মত-প্যানেলের ঊর্ধ্বে উঠে শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করতে চাই।’

স্বতন্ত্র এজিএস পদপ্রার্থী হাসিবুল ইসলাম বলেন, ‘রাজনৈতিক দলভিত্তিক প্যানেল থাকার পরও অনেক শিক্ষার্থী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রতি ঝুঁকতে পারেন। কারণ তারা মনে করেন, স্বতন্ত্ররা দলীয় প্রভাবের বাইরে থেকে শিক্ষার্থীদের স্বার্থ রক্ষা করতে পারবেন। দলীয় প্যানেলগুলো বৃহত্তর রাজনৈতিক স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেয়। তাই তারা স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে নিজেদের প্রত্যাশা ও দাবি-দাওয়া বাস্তবায়নের বেশি সুযোগ দেখতে পান।’

“সুত্র: দৈনিক বণিক বার্তা”

এই সম্পর্কিত আরো পোস্ট দেখতে পারেন

কমেন্ট লিখুন