জুবিনের শেষযাত্রা যেন হয়ে উঠেছিল এক মহাযাত্রা। প্রিয় শিল্পীকে শেষবারের মতো দেখতে অর্জুন ভোগেশ্বর বড়ুয়া স্পোর্টস কমপ্লেক্স থেকে কামরূপের কামারকুচি শ্মশান পর্যন্ত হাজারো মানুষ ভিড় জমিয়েছিল।
গৌহাটির বাসিন্দা সঞ্চারী রায়চৌধুরীর কথায়, ‘১৯ সেপ্টেম্বর থেকে কারোর মন ভালো নেই।
সঞ্চারী আরো বলেন, ‘আমি আসামের মানুষ নই, গত চার বছর ধরে এখানে থাকছি। আমি এখনো পূজায় কলকাতায় যাই। কিন্তু এবার সত্যিই মন ভালো নেই। এই উৎসব না হওয়া নিয়ে মন খারাপ নেই।’
ড. ভূপেন হাজারিকার পর আসামকে নতুন সাংস্কৃতিক পরিচয় দিয়েছিলেন যে মানুষটি, তিনি আজ আর নেই। কিন্তু তার সুর আজও বেঁচে আছে মানুষের অন্তরে। হয়তো তিনি আর কোনোদিন মঞ্চে উঠবেন না, কিন্তু যখনই বাজবে “মায়াবিনী রাতির বুকুত”, আসামবাসী অনুভব করবে—জুবিন আছেন, আছেন তাদের প্রাণের ভেতর, আকাশভরা সুর হয়ে।
উল্লেখ্য, ১৯৭২ সালে মেঘালয়ের তুরায় জন্ম নেওয়া জুবিন গার্গ চার দশকের ক্যারিয়ারে গেয়েছেন ৯ হাজারেরও বেশি গান, এমনকি ৪০টিরও বেশি ভাষায়। বলিউডের ‘ইয়া আলি’ গানটি তাকে দিয়েছে জাতীয় পরিচিতি। অসমিয়া ও বাংলা ছবিতে গায়ক, সঙ্গীত পরিচালক, প্রযোজক—সব কিছুতেই তিনি রেখেছেন সাফল্যের ছাপ। বিতর্ক তাকে ছুঁলেও ভক্তদের কাছে তিনি আবেগ, প্রতীক, এক যুগের সুর। সমাজসেবায়ও রেখেছেন স্মরণীয় দাগ। পশু বলি বন্ধের আন্দোলনে পেয়েছিলেন পিটার-র ‘হিরো’ উপাধি।
সূত্র : দ্য ওয়াল