তৃণমূলের সংবাদ ডেস্ক :
ফিলিস্তিনের গাজাগামী ত্রাণবাহী ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’য় ইসরাইলি হামলার নিন্দা জানিয়েছে উপত্যকাটির প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। এ ঘটনাকে বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে ‘জলদস্যুতা’ ও ‘সামুদ্রিক সন্ত্রাসবাদ’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে সংগঠনটি।
এক বিবৃতিতে হামাস জানায়, ইসরাইলি বাহিনী ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ থামিয়ে স্বেচ্ছাসেবক, সাংবাদিক ও ত্রাণকর্মীদের আটক করে ‘একটি বিশ্বাসঘাতকতাপূর্ণ আগ্রাসনের ঘটনা’ ঘটিয়েছে। হামাস আরও বলে, মানবিক মিশনে থাকা বেসামরিক লোকজনকে লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়েছে, যা ‘মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ’ এবং এতে বিশ্বব্যাপী ক্ষোভ আরও বাড়বে।
সংগঠনটি জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে— আইনি ও নৈতিক দায়িত্ব পালন করে এসব ত্রাণবাহী নৌযানের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে।
এরইমধ্যে ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’র একটি জাহাজ গাজার আঞ্চলিক জলসীমায় প্রবেশ করেছে। পাশাপাশি আরও অন্তত ২৩টি ত্রাণবাহী নৌযান গাজার উপকূলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার লাইভ ট্র্যাকার অনুযায়ী, ‘মিকেনো’ নামের একটি জাহাজ গাজার জলসীমায় প্রবেশ করেছে। তবে সেটি ইসরাইলি বাহিনী আটক করেছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা সমুদ্রপথে গাজায় ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার একটি আন্তর্জাতিক উদ্যোগ। এতে যুক্ত আছে ৪০টিরও বেশি বেসামরিক নৌযান এবং প্রায় ৪৪টি দেশের ৫০০ জন প্রতিনিধি— যাদের মধ্যে আছেন ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নির্বাচিত সদস্য, আইনজীবী, অধিকারকর্মী, চিকিৎসক ও সাংবাদিক।
নৌবহরের প্রথম বহরটি ৩১ আগস্ট স্পেনের বার্সেলোনা থেকে যাত্রা শুরু করে। পরে তিউনিসিয়া, ইতালির সিসিলি দ্বীপ ও গ্রিসের সাইরাস দ্বীপ থেকে আরও নৌযান এতে যুক্ত হয়। বর্তমানে বহরে রয়েছে ৪০টিরও বেশি নৌযান।
ইসরাইল শুরু থেকেই দাবি করে আসছে, এই নৌবহরের সঙ্গে ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসের সম্পর্ক রয়েছে। তবে এর পক্ষে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেনি তারা।