উত্তরা ইউনিভার্সিটি গত দুই দশকে ব্যতিক্রমী অগ্রগতি অর্জন করেছে। শিক্ষার্থীর সংখ্যা, প্রোগ্রামের পরিধি, একাডেমিক মান, অবকাঠামো, প্রযুক্তিগত সুবিধাসহ সব ক্ষেত্রেই উন্নয়ন হয়েছে। সমকালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন আরা লেখা
সমকাল: ইউনিভার্সিটির সামগ্রিক অবস্থা ও পরিকল্পনা কী?
উপাচার্য: উত্তরা ইউনিভার্সিটির পাঁচটি অনুষদের অধীনে ৩৮টি প্রোগ্রামে প্রায় ১২ হাজার শিক্ষার্থী পাঠ গ্রহণ করছে। শিক্ষার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক চর্চা, সামাজিক দায়বদ্ধতা ও গবেষণার ক্ষেত্রেও শিক্ষার্থীরা সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছে। উত্তরা ইউনিভার্সিটির প্রায় ৩৩ হাজার শিক্ষার্থী চাকরির বাজারে রয়েছে।
সমকাল: গবেষণায় কীভাবে সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছে এ ইউনিভার্সিটি?
উপাচার্য: শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের গবেষণায় আগ্রহ কম থাকার মূল কারণ গবেষণার সুষ্ঠু পরিবেশের অভাব। আমরা শুরু থেকেই নানা উদ্যোগ নিয়ে গবেষণাকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আসছি। শিক্ষকরা যাতে গবেষণায় সক্রিয়ভাবে অংশ নিতে পারেন, সে জন্য যথাযথ সময়, প্রশিক্ষণ ও আর্থিক সহায়তা দিয়ে থাকি। আমাদের গবেষণা সেল নিয়মিতভাবে কর্মশালা ও প্রকাশনার আয়োজন করে। এর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ, বিদেশি ইউনিভার্সিটির সঙ্গে এমওইউ চুক্তি ও যৌথ গবেষণার মাধ্যমে আমাদের শিক্ষকরা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অবদান রাখছেন।
সমকাল: শিক্ষার্থীদের কর্মজীবনে প্রবেশের ক্ষেত্রে আপনাদের ভূমিকা কী?
উপাচার্য: শিক্ষার্থীদের একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি চাকরিক্ষেত্রে প্রস্তুত করতে নিয়মিত ক্যারিয়ার ওয়ার্কশপ, ইন্ডাস্ট্রি লিংকড সেমিনার, সফট স্কিল প্রশিক্ষণ, প্রেজেন্টেশন ও পাবলিক স্পিকিং ক্লাসের আয়োজন করি। পাশাপাশি আমাদের ‘ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া’ সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা হাতেকলমে অভিজ্ঞতা নিতে পারে এবং ইন্টার্নশিপ ও চাকরির সুযোগ পায়। বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমঝোতা স্বাক্ষরিত হয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিংয়ের সুযোগ তৈরি করেছে। আমাদের এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স অফিস শিক্ষার্থীদের ইন্টার্নশিপ ও জব করার সুযোগ করে দেয়। এইচআর সামিট আয়োজন করেছি, যেখানে বাংলাদেশের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছে।
সমকাল: আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ের উত্তরা ইউনিভার্সিটির অবস্থান কেমন?
উপাচার্য: ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিংয়ে ভালো অবস্থান অর্জন করা মানে শুধু গৌরব অর্জন নয়, বরং শিক্ষার গুণগত মানের উন্নয়নকেও নির্দেশ করে। সম্প্রতি প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিং ফর ইনোভেশন (উরি) ২০২৫-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বের শীর্ষ ৪০০ উদ্ভাবনী ইউনিভার্সিটির তালিকায় ২৫৭তম স্থান অর্জন করেছে উত্তরা ইউনিভার্সিটি। ২০২৪ সালে ওই র্যাঙ্কিংয়ে উত্তরা ইউনিভার্সিটির অবস্থান ছিল ২৭৬তম, এবার ১৯ ধাপ এগিয়েছে।
সূত্রঃ সমকাল