Home » খাগড়াছড়িতে সহিংসতা: পুলিশ বাদী হয়ে তিন মামলা, আসামি সহস্রাধিক অজ্ঞাত ব্যক্তি

খাগড়াছড়িতে সহিংসতা: পুলিশ বাদী হয়ে তিন মামলা, আসামি সহস্রাধিক অজ্ঞাত ব্যক্তি

0 মন্তব্য গুলি 4 জন দেখেছে 1 মিনিট পড়েছেন

তৃণমূলের সংবাদ ডেস্ক :
খাগড়াছড়ির গুইমারা ও সদর উপজেলায় সাম্প্রতিক সহিংসতার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি মামলা দায়ের করেছে। এসব মামলায় হাজারেরও বেশি অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে দুটি মামলা হয়েছে গুইমারা থানায় এবং একটি মামলা খাগড়াছড়ি সদর থানায়।

মামলাগুলোতে হত্যা, ভাঙচুর, পুলিশের ওপর হামলা এবং ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে দাঙ্গা সৃষ্টির অভিযোগ আনা হয়েছে। খাগড়াছড়ি সদর থানার মামলায় ৬০০ থেকে ৭০০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। অন্যদিকে গুইমারা থানার দুটি মামলায় হত্যা ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে অজ্ঞাত ২৫০-৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

গুইমারা থানার ওসি এনামুল হক চৌধুরী জানান, গত ২৮ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত প্রশাসনের জারি করা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলা চালানো হয়। এ সময় অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। পরে ধানক্ষেত থেকে তিন ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় হত্যা মামলায় শতাধিক অজ্ঞাত ব্যক্তি এবং সহিংসতা, হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আরও আড়াইশ অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহত ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা না করায় থানার এসআই সোহেল রানা বাদী হয়ে মামলা করেন।

এদিকে খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি আব্দুল বাতেন মৃধা জানান, গত ২৭ সেপ্টেম্বর জেলা সদরের মহাজনপাড়া, স্বনির্ভর ও উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনায় অজ্ঞাত সাত থেকে আটশ ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

banner

খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল বলেন, গুইমারায় নিহতদের পরিবার বা ক্ষতিগ্রস্তরা কোনো অভিযোগ দেননি। তাই পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি মামলা রুজু করেছে।

উল্লেখ্য, গত ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে এক মারমা কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে জুম্ম ছাত্র-জনতা সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করে। এর পর থেকেই খাগড়াছড়ি জুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তবে পরবর্তীতে তিন সদস্যের চিকিৎসক দল কিশোরীর শরীরে ধর্ষণের কোনো আলামত পায়নি।

এই সম্পর্কিত আরো পোস্ট দেখতে পারেন

কমেন্ট লিখুন