Home » ক্যান্সার হাসপাতালে এক কোটি টাকা অনুদান দেবে জামায়াত

ক্যান্সার হাসপাতালে এক কোটি টাকা অনুদান দেবে জামায়াত

সোমবার (১৮ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনিস্টিউট ও হাসপাতালে রেডিওথেরাপির সিটি স্ক্যান মেশিনসহ পরীক্ষা-নিরীক্ষার যন্ত্র বন্ধ থাকা এবং প্রশাসনের নানাবিধ দুর্নীতির বিরুদ্ধে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

0 মন্তব্য গুলি 5 জন দেখেছে 2 মিনিট পড়েছেন

জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে এক কোটি টাকা অনুদান দেবেন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৭ আসনে জামায়াতের প্রার্থী ডা: এস এম খালিদুজ্জামান। এই টাকায় ক্যান্সার হাসপাতালের উন্নয়ন করা যাবে।
সোমবার (১৮ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে রেডিওথেরাপির সিটি স্ক্যান মেশিনসহ পরীক্ষা-নিরীক্ষার যন্ত্র বন্ধ থাকা এবং প্রশাসনের নানাবিধ দুর্নীতির বিরুদ্ধে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা: এস এম খালিদুজ্জামান বলেন, ‘বাংলাদেশে ক্যান্সার চিকিৎসার সবচেয়ে বড় এই সরকারি প্রতিষ্ঠান নানাবিধ দুর্নীতি, দালালচক্রের দৌরাত্ম্য ও রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে ভেঙে পড়েছে। রোগীরা সঠিক সময়ে সেবা পাচ্ছেন না, আর সাধারণ মানুষের জীবন ঝুঁকির মুখে পড়ছে।’
তিনি বলেন, ‘ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য দেশের ৬৪ জেলা ও ৪৯৫ থানার মানুষ ভরসা করে ঢাকার এই জাতীয় ক্যান্সার ইনস্টিটিউটে আসেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে প্রতিষ্ঠানটি নিজেই দুর্নীতিতে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে। সাতটি রেডিওথেরাপি মেশিনের মধ্যে মাত্র দুটি সচল আছে, বাকি পাঁচটি অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে। এত গুরুত্বপূর্ণ মেশিনগুলো বন্ধ থাকায় ক্যান্সার রোগীরা চিকিৎসা পাচ্ছেন না।’
তিনি অভিযোগ করেন, ‘নিয়োগ থেকে শুরু করে প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড সবখানেই দুর্নীতি ও রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার আছে। গত ১৭ বছরের ফ্যাসিস্ট শাসনামলে একজনের জীবনকাহিনী আরেকজন লিখে প্রমোশন পেয়েছে। ডাক্তার, নার্স, টেকনোলজিস্ট ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের পদোন্নতি ও নিয়োগে বৈষম্য করা হয়েছে। একটি বিশেষ জেলা থেকে লোক এনে ক্যান্সার হাসপাতালে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সংস্কার ও সংশোধনের নামে কিছু পরিবর্তন হলেও প্রকৃত প্রশাসনিক দুর্নীতি দূর হয়নি।’
ঢাকা-১৭ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী এই জামায়াত নেতা বলেন, ‘কর্মচারীদের কোয়ার্টার বহিরাগতরা দখল করে আছে। সিরিয়াল বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করছে দালালচক্র। এমআরআই, সিটিস্ক্যান ও ন্যানোগ্রাম মেশিন নেই। ব্লাড ব্যাংক এখনো ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে চলছে, যা অবশ্যই কম্পিউটারাইজড করতে হবে। মানুষের স্বাস্থ্যসেবা এভাবে জিম্মি হতে পারে না।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের আমির (জামায়াত আমির) ডা: শফিকুর রহমান ঘোষণা দিয়েছেন আমরা দুর্নীতি করবো না, দুর্নীতি সহ্য করবো না, দুর্নীতি প্রতিহত করব। তার নেতৃত্বে আমরা শিশু হাসপাতালে রাতের ভোটের মতো অনিয়মে নিয়োগপ্রাপ্ত ৬৫ জন চিকিৎসকের নিয়োগ বাতিল করেছি। ভবিষ্যতে সরকার গঠন করলে আমরা স্বাস্থ্য খাত থেকে সকল প্রকার দুর্নীতি দূর করব।’
তিনি আরো বলেন, ‘এই হাসপাতালের দুর্নীতির একটি ক্ষুদ্র অংশ আমি আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম। আসলেই দেশের স্বাস্থ্য খাত ক্যান্সারে আক্রান্ত। আমরা চাই রোগীরা যেন সেবা পান, আশা ভরসা নিয়ে যারা এখানে আসেন তারা যেন আর হতাশ না হন। সেই লক্ষ্যেই আজকের এই ঘোষণা।’
প্রতিশ্রুতি দিয়ে এ জামায়াত নেতা বলেন, ‘ক্ষমতায় গেলে দক্ষ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ, আধুনিক যন্ত্রপাতি সংযোজন, ব্লাড ব্যাংক ডিজিটালাইজেশন এবং পূর্ণ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হবে। পাশাপাশি সরকারি কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের দেশেই চিকিৎসা গ্রহণ বাধ্যতামূলক করা হবে।’
‘আমি ব্যক্তিগতভাবে এক কোটি টাকা অনুদান ঘোষণা করছি। এটা কেবল শুরু, আমরা চাই ক্যান্সার হাসপাতালকে সত্যিকার অর্থে জনগণের জন্য আধুনিক ও দুর্নীতিমুক্ত একটি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করতে,’ বলেন তিনি।

‘সুত্র: দৈনিক নয়া দিগন্ত”

এই সম্পর্কিত আরো পোস্ট দেখতে পারেন

কমেন্ট লিখুন