Home » কটূক্তির প্রতিবাদে কুমিল্লায় মাজার পুড়িয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা

কটূক্তির প্রতিবাদে কুমিল্লায় মাজার পুড়িয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা

0 মন্তব্য গুলি 4 জন দেখেছে 1 মিনিট পড়েছেন

তৃণমূলের সংবাদ ডেস্ক:
কুমিল্লার হোমনায় হজরত মোহাম্মদ (সা.)-কে কটূক্তি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার জেরে মাজার পুড়িয়ে দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ জনতা। এছাড়াও কয়েকটি মাজার পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক হোমনা থানা পুলিশ, সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর)  সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হোমনা থানার ওসি রফিকুল ইসলাম। কুমিল্লা পুলিশ সুপার নাজির আহম্মেদ খান ও হোমনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ক্ষেমালিকা চাকমা, হোমনা সার্কেল মো. করিম ও দাউদকান্দি সার্কেল মো. ফয়সাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সরেজমিন জানা যায়, হোমনা উপজেলার আছাদপুর গ্রামের কফিলউদ্দিন শাহের নাতি মো. মহসিন তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে বুধবার সকালে হজরত মোহাম্মদ (সা.)-কে কটূক্তি করে পোস্ট দেন। পোস্টটি ছড়িয়ে পড়লে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। বিষয়টি থানা পুলিশের নজরে এলে তাৎক্ষণিক অভিযুক্ত মহসিনকে আটক করে এবং তার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করে রিমান্ড আবেদন করে আদালতে প্রেরণ করেছে। জানা গেছে, এদিকে সকাল ১০টার দিকে কয়েক হাজার লোক জড়ো হয়ে আছাদপুর গ্রামের কফিলউদ্দিন শাহের মাজারে গিয়ে একটি টিনের ঘর, একটি সেমিপাকা ঘর ও কফিলউদ্দিন শাহের মাজারে হামলা ভাঙচুর ও আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। এছাড়াও বিক্ষুব্ধ জনতা আরও একাধিক মাজারে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে বলেও খবর পাওয়া গেছে। আছাদপুর গ্রামের বাসিন্দা মো.শাহ আলম বলেন, কফিলউদ্দিন শাহের মাজারটি আজ বিশ বছর হয়; কিন্তু উনার নাতি মহসিন নবীজিকে কটূক্তি করে যে পোস্ট দিয়েছে তা খুবই দুঃখজনক। কুমিল্লা পুলিশ সুপার নাজির আহম্মেদ খান বলেন, বুধবার মহসিন নামের এক যুবক হজরত মোহাম্মদ (সা.)-কে কটূক্তি করে ফেসবুকে যে পোস্ট দিয়েছে, তাৎক্ষণিক আমরা তাক আটক করেছি এবং নিয়মিত মামলা দিয়ে রিমান্ড আবেদন করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে আজকের যে ঘটনাটি ঘটিয়েছে তা খুবই দুঃখজনক। তবে এ ঘটনায় আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।

এই সম্পর্কিত আরো পোস্ট দেখতে পারেন

কমেন্ট লিখুন