Home » ঈদে মিলাদুন্নবী ﷺ : হোক ইবাদত, দোয়া ও মানবতার সেবায় পরিপূর্ণ একটি দিন (দ্বিতীয় পর্ব)

ঈদে মিলাদুন্নবী ﷺ : হোক ইবাদত, দোয়া ও মানবতার সেবায় পরিপূর্ণ একটি দিন (দ্বিতীয় পর্ব)

0 মন্তব্য গুলি 64 জন দেখেছে 6 মিনিট পড়েছেন

بَلَاغَةُ الْأُولَىٰ بِكَمَالِهَا
বালাগাল উলা বি কামা-লি হি,
كَشْفُ الضُّجَىٰ بِجَمَالِهِ
কাশাফাদ দুজা বি জামা-লি হি;
حَصْنَةُ الجَامِعُ خِصْلِهِ
হাছুনাত জামিউ খিছ-লি হি,
صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَآلِهِ
ছল্লু আলাইহি ওয়া আ-লি হি।

বাংলা অর্থ: জনাব হুজুরে পাক মুহাম্মদ মুস্তফা (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর সুমহান চরিত্রের পূর্ণতা ও শ্রেষ্ঠতায় পৌঁছেছেন। তাঁর সৌন্দর্যের ছটায় তিঁনি সকল অন্ধকার দূর করেছেন। তাঁর প্রতিটি আচার-আচরণ সৌন্দর্যমণ্ডিত ছিল। হে মুমিনগণ! হজরত রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং তাঁর আওলাদ ও আসহাবগণের উপর দরূদ ও সালাম পাঠ কর।

মহাকবি শেখ সাদি রাহমাতুল্লাহি আলাইহি “বালাগাল উলা বি কামালিহি” কবিতার প্রথম তিন লাইন রচনা করেছিলেন, কিন্তু এরপর আর মিলাতে পারছিলেন না। তিনটি লাইন লিখে তিনি গভীর চিন্তায় মগ্ন হয়ে পড়েন। টানা তিন দিন তিনি অস্থিরতায় কাটান—খাওয়া-দাওয়া, ঘুম—কিছুই যেন হচ্ছিল না। অবশেষে চরম ক্লান্ত হয়ে তিনি ঘুমের কোলে ঢলে পড়েন। সে ঘুমের মাঝে হযরত শেখ সাদী (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) সৌভাগ্য লাভ করলেন প্রিয়নবী মুহাম্মদ মুস্তফা (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর পবিত্র দীদারে।

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) স্নেহভরে জিজ্ঞেস করলেন,

banner

“হে সাদী! তুমি এত অস্থির কেন? কী হয়েছে তোমার?”

তখন হযরত শেখ সাদী (রাহ.) বিনয়ের সঙ্গে জানালেন, তাঁর কাসিদাটি অসম্পূর্ণ থেকে গেছে।

রাসূল পাক (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তখন ইরশাদ করলেন,

“তুমি এর চতুর্থ লাইন লিখো — (সাল্লু আলাইহি ওয়া আলিহি)।”

(সুবহানাল্লাহ!)

মানবজাতির কল্যাণ ও দুনিয়ার শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা যুগে যুগে নবী-রাসুল প্রেরণ করেছেন। তাঁদের মধ্যে সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ হলেন হযরত মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)। তিনি আওয়াল ও আখেরের নবী—সমস্ত মানবতার মুক্তি ও বিশ্বশান্তির জন্য যিনি প্রেরিত হয়েছেন।

মহান আল্লাহ তাআলা বলেন,

  • وَمَا أَرْسَلْنَاكَ إِلَّا رَحْمَةً لِّلْعَالَمِينَ ‘(হে নবী!) আমি আপনাকে সমগ্র বিশ্বের জন্য রহমতস্বরূপ প্রেরণ করেছি।’ (সুরা-২১ আম্বিয়া, আয়াত: ১০৭)
  • وَمَا أَرْسَلْنَاكَ إِلَّا كَافَّةً لِّلنَّاسِ بَشِيرًا وَنَذِيرًا وَلَٰكِنَّ أَكْثَرَ النَّاسِ لَا يَعْلَمُونَ ‘(হে নবী!) আমি আপনাকে সব মানুষের জন্য সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে প্রেরণ করেছি।’ (সুরা-৩৪ সাবা, আয়াত: ২৮)

নবী-রাসুল প্রেরণের মূল লক্ষ্য হলো মানুষকে আল্লাহর সঙ্গে পরিচয় করানো। তাই আল্লাহর ভালোবাসা অর্জন করতে হলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের -এর পথ অনুসরণ করতে হবে। অর্থাৎ তিনি যা করেছেন বা করতে বলেছেন, তা পালন করতে হবে এবং যা করেননি বা করতে নিষেধ করেছেন, তা থেকে বিরত থাকতে হবে।

এ বিষয়ে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে:

  • مَا أَفَاءَ اللَّهُ عَلَىٰ رَسُولِهِ مِنْ أَهْلِ الْقُرَىٰ فَلِلَّهِ وَلِلرَّسُولِ وَلِذِي الْقُرْبَىٰ وَالْيَتَامَىٰ وَالْمَسَاكِينِ وَابْنِ السَّبِيلِ كَيْ لَا يَكُونَ دُولَةً بَيْنَ الْأَغْنِيَاءِ مِنْكُمْ ۚ وَمَا آتَاكُمُ الرَّسُولُ فَخُذُوهُ وَمَا نَهَاكُمْ عَنْهُ فَانتَهُوا ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ  “রাসূল তোমাদের যা দিয়েছেন তা গ্রহণ করো, আর যা থেকে বারণ করেছেন, তা পরিহার কর” (সুরা হাশর, আয়াত: ৫৯:৭)

‘ঈদে মিলাদুন্নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)’ অর্থ হলো মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর জন্মোৎসব। এই পবিত্র জন্ম মহোৎসবে সমগ্র জগত আনন্দিত হয়েছিল, একমাত্র শয়তান ছাড়া।

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন:

  • لَّقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ ٱللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ لِّمَن كَانَ يَرْجُواْ ٱللَّهَ وَٱلْيَوْمَ ٱلْآخِرَ وَذَكَرَ ٱللَّهَ كَثِيرٗا “অবশ্যই তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর জীবনে রয়েছে উত্তম আদর্শ।” (সুরা আহযাব, আয়াত: ২১)

এ থেকে স্পষ্ট যে, মানুষের প্রকৃত কল্যাণ নিহিত আছে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর জীবনধারা অনুসরণের মধ্যে। তিনি আমাদের দেখিয়ে গেছেন কীভাবে ঈমান, ইবাদত, আখলাক ও সামাজিক আচরণকে সুন্দরভাবে সমন্বয় করতে হয়। তাই আমাদের জন্য প্রকৃত কর্তব্য হলো তাঁর জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা, কোরআনের শিক্ষা ও সুন্নাহকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা।

আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিনকে ভালোবাসার সাথে রাসূলে পাক (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে ভালোবাসাই হলো ঈমান। তাঁকে অনুসরণ ও অনুগত করাই যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা আমরা নিচের আয়াতগুলোর অর্থ পর্যালোচনা করলে সহজেই বুঝতে পারব, ইন শা আল্লাহ। মহান আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন আমাদেরকে এসব আয়াত নিয়ে চিন্তা-ফিকির করার তাওফিক দান করুন। আমীন।

আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন,

  • قُلْ إِن كَانَ آبَاؤُكُمْ وَأَبْنَاؤُكُمْ وَإِخْوَانُكُمْ وَأَزْوَاجُكُمْ وَعَشِيرَتُكُمْ وَأَمْوَالٌ ٱقْتَرَفْتُمُوهَا وَتِجَٰرَةٞ تَخْشَوْنَ كَسَادَهَا وَمَسَٰكِنُ تَرْضَوْنَهَآ أَحَبَّ إِلَيْكُم مِّنَ ٱللَّهِ وَرَسُولِهِۦ وَجِهَادٖ فِي سَبِيلِهِۦ فَتَرَبَّصُواْ حَتَّىٰ يَأْتِيَ ٱللَّهُ بِأَمْرِهِۦۗ وَٱللَّهُ لَا يَهْدِي ٱلْقَوْمَ ٱلْفَٰسِقِينَ বল, ‘তোমাদের পিতা, তোমাদের সন্তান, তোমাদের স্ত্রী, তোমাদের গোত্র, তোমাদের সে সম্পদ যা তোমরা অর্জন করেছ, আর সে ব্যবসা যার মন্দা হওয়ার আশঙ্কা তোমরা করছ এবং সে বাসস্থান, যা তোমরা পছন্দ করছ, যদি তোমাদের কাছে অধিক প্রিয় হয় আল্লাহ, তাঁর রাসূল ও তাঁর পথে জিহাদ করার চেয়ে, তবে তোমরা অপেক্ষা কর আল্লাহ তাঁর নির্দেশ নিয়ে আসা পর্যন্ত’। আর আল্লাহ ফাসিক সম্প্রদায়কে হিদায়াত করেন না। (সুরা-তাওবা, আয়াত: ২৪)
  • تِلْكَ حُدُودُ ٱللَّهِ ۚ وَمَن يُطِعِ ٱللَّهَ وَرَسُولَهُۥ يُدْخِلْهُ جَنَّٰتٖ تَجْرِي مِن تَحْتِهَا ٱلْأَنْهَٰرُ خَٰلِدِينَ فِيهَا ۚ وَذَٰلِكَ ٱلْفَوْزُ ٱلْعَظِيمُ
    এগুলো আল্লাহর সীমারেখা। আর যে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করে আল্লাহ তাকে প্রবেশ করাবেন জান্নাত সমূহে, যার তলদেশে প্রবাহিত রয়েছে নহর সমূহ। সেখানে তারা স্থায়ী হবে। আর এটা মহা সফলতা । (সুরা আন-নিসা (৪:১৩)

  • يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا أَطِيعُوا اللَّهَ وَأَطِيعُوا الرَّسُولَ وَأُولِي الْأَمْرِ مِنكُمْ ۖ فَإِن تَنَازَعْتُمْ فِي شَيْءٍ فَرُدُّوهُ إِلَى اللَّهِ وَالرَّسُولِ إِن كُنتُمْ تُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ ۚ ذَلِكَ خَيْرٌ وَأَحْسَنُ تَأْوِيلًا
    হে মুমিনগণ, তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহর ও আনুগত্য কর রাসূলের এবং তোমাদের মধ্য থেকে কর্তৃত্বের অধিকারীদের। অতঃপর কোন বিষয়ে যদি তোমরা মতবিরোধ কর তাহলে তা আল্লাহ ও রাসূলের দিকে প্রত্যার্পণ করাও- যদি তোমরা আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি ঈমান রাখ। এটি উত্তম এবং পরিণামে উৎকৃষ্টতর। (সূরাঃ আন-নিসা ৫৯)

  • وَمَن يُطِعِ اللَّهَ وَالرَّسُولَ فَأُو۟لَـٰٓئِكَ مَعَ ٱلَّذِينَ أَنْعَمَ ٱللَّهُ عَلَيْهِم مِّنَ ٱلنَّبِيِّينَ وَالصِّدِّيقِينَ وَٱلشُّهَدَاءِ وَٱلصَّـٰلِحِينَ ۚ وَحَسُنَ أُو۟لَـٰٓئِكَ رَفِيقًا
    আর যারা আল্লাহ ও রাসূলের আনুগত্য করে তারা তাদের সাথে থাকবে, আল্লাহ যাদের উপর অনুগ্রহ করেছেন নবী, সিদ্দীক, শহীদ ও সৎকর্মশীলদের মধ্য থেকে। আর সাথী হিসেবে তারা হবে উত্তম। (সুরা আন-নিসা ৬৯)

  • مَن يُطِعِ الرَّسُولَ فَقَدْ أَطَاعَ اللَّهَ ۖ وَمَن تَوَلَّىٰ فَمَا أَرْسَلْنَاكَ عَلَيْهِمْ حَفِيظًا
    যে রাসূলের আনুগত্য করল, সে আল্লাহরই আনুগত্য করল। আর যে বিমুখ হল, তবে আমি তোমাকে তাদের উপর তত্ত্বাবধায়ক করে প্রেরণ করিনি। (সুরা আন-নিসা ৮০)

  • يَسْأَلُكَ النَّاسُ عَنِ الْأَنْفَالِ قُلِ الْأَنْفَالُ لِلَّهِ وَالرَّسُولِ فَاتَّقُوا اللَّهَ وَأَصْلِحُوا ذَا بَيْنَكُمْ وَأَطِيعُوا اللَّهَ وَرَسُولَهُ إِن كُنتُم مُّؤْمِنِينَ
    তারা তোমাকে যুদ্ধে প্রাপ্ত সম্পদ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করছে। বল, ‘যুদ্ধে প্রাপ্ত সম্পদ হচ্ছে আল্লাহ ও তাঁর রসূলের; কাজেই তোমরা আল্লাহকে ভয় কর আর নিজেদের সম্পর্ককে সুষ্ঠু সুন্দর ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত কর। তোমরা যদি মু’মিন হয়ে থাক তবে তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আনুগত্য কর।’ (সুরা আনফাল ১)

  • يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا أَطِيعُوا اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَلَا تَوَلَّوْا عَنْهُ وَأَنتُمْ تَسْمَعُونَ
    হে মুমিনগণ! আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য কর, তোমরা যখন তার কথা শুনছ তখন তোমরা তার আনুগত্য হতে মুখ ফিরিয়ে নিওনা। (সুরা আনফাল ২০)

  • وَأَطِيعُوا اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَلَا تَنَازَعُوا فَتَفْشَلُوا وَتَذْهَبَ رِيحُكُمْ وَاصْبِرُوا ۚ إِنَّ اللَّهَ مَعَ الصَّابِرِينَ
    আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আনুগত্য কর, পরস্পরে ঝগড়া বিবাদ করো না, তা করলে তোমরা সাহস হারিয়ে ফেলবে, তোমাদের শক্তি-ক্ষমতা বিলুপ্ত হবে। আর ধৈর্য ধারণ করবে, আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে আছেন। (সুরা আনফাল ৪৬)

  • وَالَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ وَآمَنُوا بِمَا نُزِّلَ عَلَىٰ مُحَمَّدٍ وَهُوَ الْحَقُّ مِن رَّبِّهِمْ كَفَّرَ عَنْهُمْ سَيِّئَاتِهِمْ وَأَصْلَحَ بَالَهُمْ
    হে মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহর আনুগত্য কর এবং রাসূলের আনুগত্য কর। আর তোমরা তোমাদের আমলসমূহ বিনষ্ট করো না। (সুরা মুহাম্মাদ ৩৩)

  • فَإِن تَوَلَّوْا فَاعْلَمُوا أَنَّمَا يُرِيدُ اللَّهُ أَن يُصِيبَهُم بِبَعْضِ ذُنُوبِهِمْ ۗ وَإِنَّ كَثِيرًا مِّنَ النَّاسِ فَاسِقُونَ
    তোমরা আল্লাহর আনুগত্য কর এবং রাসূলের আনুগত্য কর। কিন্তু তোমরা যদি মুখ ফিরিয়ে নাও, তবে আমার রাসূলের তো একমাত্র দায়িত্ব হচ্ছে স্পষ্টভাবে বাণী পৌঁছে দেয়া। (সূরাঃ আত-তাগাবুন ১২)

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,

‘তোমরা কেউ ততক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ মুমিন হবে না, যতক্ষণ না আমি হব তার নিকট তার পিতা, পুত্র ও সকল মানুষ এবং যাবতীয় সবকিছু হতে প্রিয়।’(বুখারি: ১৩-১৪)

ইসলামই একমাত্র এমন জীবনব্যবস্থা, যা মানুষকে ইহকালে শান্তি ও পরকালে মুক্তি দান করতে সক্ষম। আর এই মহান দীনকে আঁকড়ে ধরার মাধ্যমেই আমরা প্রকৃত সফলতা অর্জন করতে পারি। কাজেই আমাদের আনন্দ ও উৎসব তখনই অর্থবহ হবে, যখন তা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর আদর্শ ও ইসলামের মূল শিক্ষার আলোকে পরিচালিত হবে।

লেখক :  স্বচ্ছ আজিজি, প্রবাসী বাংলাদেশী, লেখক, অধ্যাপক  গবেষক, বাল্টিমোর, মেরিল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র থেকে।

এই সম্পর্কিত আরো পোস্ট দেখতে পারেন

কমেন্ট লিখুন