Home » ইসলামী ব্যাংকগুলোর আমানত বাড়ছে

ইসলামী ব্যাংকগুলোর আমানত বাড়ছে

0 মন্তব্য গুলি 3 জন দেখেছে 1 মিনিট পড়েছেন

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে শরিয়াহভিত্তিক কয়েকটি ব্যাংক তারল্য সংকটে একেবারে ধসে পড়েছিল। সেই সংকট মোকাবেলায় সরকার বর্তমানে ব্যাংক একীভূতকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলোর আমানত আবারও কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি বছরের মে মাস শেষে শরিয়াহভিত্তিক ১০টি ব্যাংকের আমানতের পরিমাণ ছিল তিন লাখ ৮৪ হাজার ৬৯৪ কোটি টাকা।

জুন শেষে এর পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় তিন লাখ ৯৩ হাজার ৭৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক মাসে আমানত বেড়েছে আট হাজার ৩৮১ কোটি টাকা বা ২.১৮ শতাংশ। তবে গত বছরের তুলনায় এবারের চিত্র ভিন্ন। গত বছরের জুন শেষে এসব ব্যাংকের আমানতের পরিমাণ ছিল তিন লাখ ৯৮ হাজার ৭৪ কোটি টাকা।

সে হিসাবে এক বছরে আমানত কমেছে প্রায় চার হাজার ৯৯৪ কোটি টাকা বা ১.২৫ শতাংশ।

banner

প্রবাস আয় ও বাণিজ্য লেনদেনে ধস : প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসলামী ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে প্রবাস আয় কমেছে। মে মাসে এসব ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছিল ৬৬ কোটি ডলার, আর জুনে এসেছে ৬১ কোটি ডলার। এক মাসের ব্যবধানে আয় কমেছে পাঁচ কোটি ডলার বা ৭.৩২ শতাংশ।

আমদানি বিল পরিশোধেও বড় ধরনের ধস নেমেছে। মে মাসে ইসলামী ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে আমদানি বিল পরিশোধ হয়েছিল ১১১ কোটি ডলার, জুনে তা নেমে আসে ৮৮ কোটি ডলারে। অর্থাৎ মাত্র এক মাসে বিল পরিশোধের পরিমাণ কমেছে ২৩ কোটি ডলার। একইভাবে রপ্তানি আয়েও দেখা গেছে পতন। মে মাসে ইসলামী ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রপ্তানি আয় এসেছিল ৭২ কোটি ডলার, জুনে তা কমে দাঁড়ায় ৬৮ কোটি ডলারে।

এই হিসাবে এক মাসে রপ্তানি আয় কমেছে চার কোটি ডলার বা ৫.২৬ শতাংশ। সব মিলিয়ে বলা যায়, ইসলামী ব্যাংকগুলোর আমানত কিছুটা ঘুরে দাঁড়ালেও প্রবাস আয়, আমদানি ও রপ্তানি খাতে এখনো ধস বিদ্যমান। খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করছেন, আমানত বৃদ্ধির এই প্রবণতা টেকসইভাবে ধরে রাখতে হলে আস্থা ফিরিয়ে আনা এবং ব্যাবসায়িক কর্মকাণ্ডে স্বাভাবিকতা নিশ্চিত করা জরুরি।

“সুত্র: দৈনিক কালেরকন্ঠ”

এই সম্পর্কিত আরো পোস্ট দেখতে পারেন

কমেন্ট লিখুন