Home » ইউপিইউ কাউন্সিলে পুনঃনির্বাচিত বাংলাদেশ, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অভিনন্দন

ইউপিইউ কাউন্সিলে পুনঃনির্বাচিত বাংলাদেশ, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অভিনন্দন

0 মন্তব্য গুলি 4 জন দেখেছে 1 মিনিট পড়েছেন

তৃণমূলের সংবাদ ডেস্ক:
ইউনিভার্সাল পোস্টাল ইউনিয়নের (ইউপিইউ) কাউন্সিল অব অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (সিএ)-এর সদস্য হিসেবে টানা দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত হয়েছে বাংলাদেশ। এই অর্জনে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

এর মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ আবারও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কূটনৈতিক সাফল্যের দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত ভোটাভুটিতে বাংলাদেশ ১৫৭টি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে ৯৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে এবং ১০ দেশের মধ্যে নবম স্থান অধিকার করে। এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ২০২৫-২০২৯ মেয়াদে পরবর্তী চার বছরের জন্য সিএ-র সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে।

শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব ও কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পরিসরে ডাক ও যোগাযোগ খাতে দেশের সক্রিয়তা প্রমাণিত হয়েছে। পূর্ববর্তী মেয়াদে (২০২১–২০২৫) বাংলাদেশের ভূমিকা ছিল সীমিত। কেবল একটি সরাসরি বৈঠকে অংশগ্রহণ করা ছাড়া বাকি কার্যক্রম অনলাইনে করার সীমাবদ্ধতা ছিল। ফলে এবারের নির্বাচনেও পুনঃনির্বাচন নিয়ে সংশয় ও উদ্বেগ ছিল। তবে সমন্বিত কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে বাংলাদেশ সেই চ্যালেঞ্জ সফলভাবে কাটিয়ে উঠেছে।

banner

সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ এই বিজয়কে একটি কূটনৈতিক সাফল্য হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, বাংলাদেশের সক্রিয় যোগাযোগ, কৌশলগত প্রচারণা ও উন্নয়নশীল দেশের প্রতিনিধি হিসেবে দায়বদ্ধতার কারণে এই বিজয় সম্ভব হয়েছে।

ইউনিভার্সাল পোস্টাল ইউনিয়ন (ইউপিইউ) হলো জাতিসংঘের একটি বিশেষ সংস্থা, যা বৈশ্বিক ডাক যোগাযোগ নীতিমালা, এর মান এবং সহযোগিতা রক্ষা করে। কাউন্সিল অব অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (সিএ) হলো ইউপিইউ-র একটি নির্বাহী অঙ্গ, যা ডাক নীতিমালা বাস্তবায়ন, প্রশাসনিক বিষয়াবলি তদারকি ও আন্তর্জাতিক ডাক বিনিময়ের শৃঙ্খলা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

এই সম্পর্কিত আরো পোস্ট দেখতে পারেন

কমেন্ট লিখুন